Yoga is a code to connect people with life, and to reconnect mankind with nature: PM Modi
By practicing Yoga, a spirit of oneness is created – oneness of the mind, body and the intellect: PM
Yoga makes the individual a better person in thought, action, knowledge and devotion: Shri Modi
There is ample evidence that practicing yoga helps combat stress and chronic lifestyle-related conditions: PM Modi
Through Yoga, we will create a new Yuga – a Yuga of togetherness and harmony: PM Modi
Yoga is not about what one can get out of it. It is rather about what one can give up, what one can get rid of: PM
Through the Swachh Bharat Mission, we are attempting to establish the link between community hygiene and personal health: PM

স্বামী চিদানন্দসরস্বতীজি,

শঙ্করাচার্যদিব্যানন্দ তীর্থজি মহারাজ,

স্বামী আসঙ্গানন্দসরস্বতীজি,

সাধ্বী ভগবতীসরস্বতীজি,

সন্ন্যাসী, আচার্যও বন্ধুগণ,

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেবিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।

মূল বক্তব্য শুরুকরার আগে দেশের বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা আমিআপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

গত মাসে আমাদেরমহাকাশ বিজ্ঞানীরা এক অভূতপূর্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।

একটিমাত্র রকেটউৎক্ষেপণের সাহায্যে তাঁরা মহাকাশে নিক্ষেপ করেছেন ১০৪টি উপগ্রহকে।

এই উপগ্রহগুলিরমধ্যে আবার ১০০টি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল, স্যুইজারল্যান্ড,নেদারল্যান্ডস, কাজাখস্থান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির।

আমাদের প্রতিরক্ষাবিজ্ঞানীরাও দেশকে গর্বিত করে তুলেছেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারিবহু উচ্চতায় এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কাজেও তাঁরা সাফল্যের নজির রেখেছেন। এরমাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের শহরগুলিকে তা কার্যকরভাবে রক্ষাকরতে পারবে।

গতকাল তাঁদের এইকৃতিত্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি ঘটনা। কম উচ্চতার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারকাজেও তাঁরা সাফল্য অর্জন করেছেন।

বিশ্বের আর মাত্রচারটি দেশের ক্ষমতা ও দক্ষতা রয়েছে এই সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে।

এই সাফল্যের জন্যআমি অভিনন্দন জানাই দেশের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের।

আমাদের মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষাবিজ্ঞানীদের অর্জিত এই সাফল্য সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারতের গর্বকে তুলে ধরেছে।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

ভারতে আমরা বিশ্বাসকরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে গবেষণা প্রচেষ্টার ওপর। একইসঙ্গে, আমাদেরবিশ্বাস আমাদের অন্তরাত্মার গভীরে সমীক্ষা ও গবেষণাকে নিয়ে যাওয়ার ওপর। অর্থাৎ,যোগ ও বিজ্ঞান উভয়েই গভীর আস্থা রয়েছে আমাদের।

আমার মনে হয়, বিশ্বযোগ উৎসবের উদ্যোগ-আয়োজনের শ্রেষ্ঠ স্থান হল হৃষীকেশ।

এই স্থানটি বহুসহস্রাব্দ ধরে আকর্ষণ করেছে সাধু-সন্ত, পূণ্যার্থী, সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্টব্যক্তিদের। তাঁরা এখানে সমবেত হয়েছেন শান্তির সন্ধানে, প্রকৃত যোগ শিক্ষার বাসনায় ।

হৃষীকেশের পবিত্রগঙ্গা নদীর তীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিচিত্র মানুষের এই বিশাল সমাগমেআমার বিশিষ্ট জার্মান পণ্ডিত ম্যাক্স ম্যুলারের একটি কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তিনিবলেছিলেন :

“আমাকে যদি প্রশ্নকরা হয়, আকাশের নিচে ঠিক কোন প্রান্তে মানব মন তার পচ্ছন্দের বস্তুটিকে খুঁজে পেতেপারে, কিংবা জীবনের কঠিনতম সমস্যার গভীরতাকে উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে আমি বলববিশ্বের এই প্রান্তের নাম ভারত।”

ম্যাক্স ম্যুলারথেকে শুরু করে আজ হৃষীকেশে উপস্থিত আপনারা সকলেই নিজের নিজের ক্ষেত্রে সফল ও কৃতীপুরুষ। যখনই আপনারা আপন অন্তরাত্মাকে খুঁজে পেতে চেয়েছেন, তখনই আপনাদের গন্তব্যহয়ে উঠেছে এই ভারত।

এবং অধিকাংশক্ষেত্রেই আপনাদের এই অনুসন্ধান প্রচেষ্টা এসে শেষ হয়েছে যোগসাধনায়।

যোগ হল মানুষেরজীবনে জীবন যোগ করার এক সাধনা, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধন সৃষ্টির এক সোপান।

আপন স্বার্থসম্পর্কে আমাদের যে সীমিত ক্ষমতা, যোগ তাকে প্রসারিত করে পরিবার, সমাজ থেকে শুরুকরে সমগ্র মানবজাতি পর্যন্ত। এ যেন আমাদের নিজস্ব অস্তিত্বেরই এক বহু বিস্তার।

এই কারণেই স্বামীবিবেকানন্দ বলেছিলেন, “প্রসারের অর্থ হল জীবন, সঙ্কোচন হল মৃত্যুর সামিল।”

যোগসাধনার মাধ্যমেগড়ে ওঠে অভিন্নতার মূল সুরটি যা মন, বুদ্ধি ও মেধার অভিন্নতাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

আমরা নিজেদেরঅভিন্ন বলে ভাবতে শুরু করি নিজ নিজ পরিবার, সমাজ, প্রতিবেশী-পরিজন, পাখি, প্রাণী ওজীবজন্তু এবং গাছপালার সঙ্গে। তাদের সকলের সঙ্গেই আমাদের সহাবস্থান পৃথিবী নামক এইগ্রহটিতে … এই হল যোগসাধনার প্রকৃত রূপ।

‘অহং’ থেকে ‘আমরাবা আমাদের’ – এই বোধে আমাদের উদ্দীপ্ত করে যোগ।

এ হল এমনই একযাত্রাপথ যা ব্যক্তি মানুষকে মিলিত করে সমষ্টির সঙ্গে। এইভাবে ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’য়উপনীত হওয়ার যে অনুভূতি তারই অপর নাম যোগ।

যোগসাধনার পথেআমাদের এই যে যাত্রা তার অবশ্যম্ভাবী সুফল হিসেবে আমরা লাভ করি সুস্বাস্থ্য,মানসিক প্রশান্তি এবং সমৃদ্ধিময় জীবন।

যোগাভ্যাস তথাযোগসাধনা একজন ব্যক্তি মানুষকে চিন্তাভাবনা, কাজকর্ম, জ্ঞান ও নিষ্ঠার দিক থেকে একউন্নততর মানুষ করে গড়ে তোলে।

একথা মনে করলে ভুলহবে যে যোগ একগুচ্ছ ব্যয়াম মাত্র যা আমাদের শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে।

শারীরিক ব্যয়ামেরঅনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান যোগসাধনার।

আধুনিক জীবনযাত্রারটানাপোড়েন থেকে মুক্তি পেতে মানুষ প্রায়ই আশ্রয় খোঁজে তামাক, মাদক এমনকিনেশাদ্রব্যেরও।

কিন্তু যোগ এমনই একসহজ সরল অথচ স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্পের সন্ধান দিতে পারে, যা কোন নির্দিষ্ট কালেরমধ্যে গণ্ডিবদ্ধ নয়। মানসিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দমনে এবং জীবনশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কিতঅসুখ-বিসুখের নিরাময়ে যোগাভ্যাস যে নানাভাবে সাহায্য করে তার দৃষ্টান্ত রয়েছেপ্রচুর।

বর্তমান বিশ্ব দুটিবিশেষ চ্যালেঞ্জের আজ সম্মুখীন – সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তন।

এই দুটি সমস্যারসমাধানে সমগ্র বিশ্ব আজ নির্ভরশীল ভারতের ওপর, যোগসাধনার ওপর।

যখন আমরা বিশ্বশান্তির কথা বলি, তখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার কথাই আমরা বলে থাকি।সমাজে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলেই সম্ভব এই লক্ষ্যে উপনীত হওয়া। যে সমস্তপরিবার শান্তির মধ্যে জীবনযাপন করেন, তাঁরাই গড়ে তুলতে পারেন শান্তিপূর্ণ এক সমাজব্যবস্থা। ব্যক্তি মানুষ যদি শান্তিপ্রিয় হয়, তাহলেই গড়ে উঠতে পারে এক শান্তিপূর্ণপরিবার। আর যোগ হল সেই মাধ্যম যা ব্যক্তি মানুষ, পরিবার, সমাজ, জাতি তথা সমগ্রবিশ্বকে শান্তির নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারে।

যোগসাধনার মধ্যদিয়ে আমরা জন্ম দিতে পারি এক নতুন যুগের। এই যুগ হল মিলনের, সম্প্রীতিপূর্ণসহাবস্থানের।

যখনই আমরা জলবায়ুপরিবর্তনের কথা বলে থাকি, তখনই আমরা ভোগ বা ভোগবাদ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেযোগসাধনার পথে চলার আগ্রহ প্রকাশ করি।

যোগ হল এমনই এক কঠিনস্তম্ভ যা জীবনে শৃঙ্খলা ও বিকাশকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারে।

ব্যক্তিগত প্রাপ্তিবা লাভের কথা যখন আমরা চিন্তা করি, কোনরকম কষ্ট বা চেষ্টা ছাড়াই যখনই আমরা কোনকিছু পাওয়ার জন্য লালায়িত হই, তখনই সম্পূর্ণ পৃথক অথচ সতেজ এক পরিবেশ আমাদের খুঁজেপেতে সাহায্য করে যোগ তথা যোগসাধনা।

যোগসাধনার অর্থকিন্তু বস্তুগত লাভ বা প্রাপ্তি নয়, বরং মানুষকে সংযত করে তোলার, মাত্রাতিরিক্তবাসনা থেকে মুক্ত করার একটি উপায় মাত্র।

সুতরাং, কোনও কিছুলাভ বা প্রাপ্তির বাসনা নয়, বরং এই ধরণের বাসনা থেকে ‘মুক্তি’র উপায় খুঁজে পেতে যোগআমাদের সাহায্য করে। বিশ্বের এই বিশেষ প্রান্তে এই বিষয়টিকে আমরা ‘মুক্তি’ বলেইঅভিহিত করে থাকি।

পরমার্থ নিকেতনেরমাধ্যমে স্বামী চিদানন্দ সরস্বতীজি এই আদর্শ নিয়ে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছেন।

যোগাভ্যাস তথা যোগসাধনাকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে পরমার্থ নিকেতনের অবদানের আমি প্রশংসাকরি।

এই কাজে স্বয়ং স্বামীজিযে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তাও আমার স্মরণে রয়েছে। হিন্দু ধর্মের ওপর ১১খণ্ডের বিশ্বকোষ তিনি সংকলন করেছেন।

মাত্র ২৫ বছরেরও কমসময়কালে এই লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন স্বামীজি এবং তাঁর সহযোগীরা। এইকর্মপ্রচেষ্টার গভীরতা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর।

মাত্র ১১টি খন্ডেরমধ্যে হিন্দু ধর্মের প্রায় সবকটি বৈশিষ্ট্যই তাঁরা সন্নিবেশিত করেছেন।

এটি হ’ল এমনই একটিমূল্যবান গ্রন্থের সংকলন, যা থেকে উপকৃত হতে পারেন আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী যে কোনওমানুষ, যোগী পুরুষ থেকে শুরু করে অতি সাধারণ মানুষও।

হিন্দুধর্মেরবিশ্বকোষের মতো আকরগ্রন্থ যখন বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়, তখন দেশে বিভিন্ন সংস্কৃতিও ঐতিহ্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষের উপলব্ধি ও চেতনাকে তা বাড়িয়ে তোলার কাজে সাহায্যকরে।

এইভাবে যদি মানুষেরমধ্যে পারস্পরিক জানার ও বোঝার মতো বাতাবরণ গড়ে ওঠে, তা হলে ঘৃণা ও ভুল বোঝাবুঝিরমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পেতে পারে। সেই সঙ্গে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রসার ঘটেশান্তি, সহযোগিতা ও সম্প্রীতির।

এই বিশেষউপলক্ষটিতে আসুন আমরা অভিনন্দিত করি পরমার্থ নিকেতনের কর্মপ্রচেষ্টাকে। কারণ,পরিচ্ছন্ন ভারত গড়ে তোলার জনআন্দোলন স্বচ্ছ ভারত মিশনে তাঁরা এক সক্রিয় ভূমিকাপালন করে চলেছে।

ব্যক্তিগতসুস্বাস্থ্যের ওপর বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ভারতীয় ঐতিহ্যের বহমান ধারা।শুধুমাত্র দৈহিক পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতার ওপরই জোর দেওয়া হয়নি, একই সঙ্গেঅগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বসবাসের স্থান, কর্মস্থান এবং পূজার্চনার স্থানগুলিকেও।

এই স্থানগুলিরচারদিকে কোনও রকম নোংরা বা আবর্জনা জমতে দেওয়া হলে তাকে অপবিত্রতারই সামিল বলেগণ্য করা হয়।

এমনকি আমাদেরপ্রাচীন পুঁথিপত্রেও ব্যক্তিগত সুস্বাস্থ্যের এই গুরুত্বকে যথোচিতভাবে তুলে ধরাহয়েছে।

মানুষের একটিস্বাভাবিক প্রবৃত্তি হ’ল উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা নিক্ষেপ করা।

পাশ্চাত্যরাষ্ট্রগুলিতে কিংবা উন্নত দেশগুলিতে কিন্তু এই ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় না,সেখানে জনস্বাস্থ্য এবং সমষ্টিগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সকলের মধ্যেই একসম্যক ধারণা গড়ে উঠেছে।

জলাশয়, ভূমি এবংবাতাসকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য সচেতনতা প্রসারের পাশাপাশি প্রচেষ্টারও গুরুত্বঅনস্বীকার্য।

সুতরাং,সুস্বাস্থ্য হ’ল ব্যক্তিগত কল্যাণ তথা উন্নততর পরিবেশের লক্ষ্যে এক বিশেষ সমষ্টিগতপ্রচেষ্টা।

স্বচ্ছ ভারত মিশনেরমাধ্যমে ব্যক্তি স্বাস্থ্যের সঙ্গে সমষ্টির স্বাস্থ্য যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিআমরা।

আমাদের সমাজব্যবস্থায় ধর্মস্থানগুলির এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।

সেগুলির অবস্থানসাধারণত বসবাসের অঞ্চলের বাইরে এক বিশাল এলাকা জুড়ে।

তবে, সময় পরিবর্তনেরসাথে সাথে এই ধর্মস্থানগুলির চারপাশে গড়ে উঠেছে দোকান-বাজার ও আবাসিক কলোনি। এইকারণে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এই স্থানগুলিতে হয়ে উঠেছে এক বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ।

এই সমস্যারমোকাবিলায় স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় রূপায়িত হচ্ছে আরেকটি প্রকল্প, যার নাম দেওয়া হয়েছে‘বিশেষ বিশেষ সৌধগুলিতে স্বচ্ছতার প্রকল্প’।

প্রথম পর্যায়ে এইকাজে আমরা যুক্ত করেছি কামাক্ষ্যা মন্দির, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, মীনাক্ষি মন্দির,তিরুপতি মন্দির, স্বর্ণমন্দির এবং বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরকে। এই ধর্মস্থানগুলি এবং তারচারপাশের পরিবেশকে আমরা পরিচ্ছন্ন করে তুলতে আগ্রহী।

সুতরাং, স্বচ্ছভারত মিশন অর্থাৎ পরিচ্ছন্ন ভারতের লক্ষ্যে কর্মপ্রচেষ্টা সম্পৃক্ত দেশেরধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার মানসিকতার সঙ্গে।

যোগসাধনার লক্ষ্যেসমগ্র বিশ্বের মহান উৎসাহ আমরা লক্ষ্য করেছি ২০১৪’র সেপ্টেম্বর মাসে। যখন আমিআন্তর্জাতিক যোগদিবস পালনের প্রস্তাব রেখেছিলাম রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে।

আমি তখন কল্পনাওকরতে পারিনি যে এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলে সমর্থন জানাবেন আমার এই প্রস্তাবকে।

নজিরবিহীনভাবেবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু দেশই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমাদের দিকে।

তারপর থেকে প্রতিবছর ২১ জুনের দিনটি সমগ্র বিশ্বে একযোগে পালিত হয় গ্রীষ্মকালীন এক বিশেষ উপলক্ষহিসেবে।

আন্তর্জাতিকযোগদিবসের এই অনুষ্ঠানে এতগুলি দেশের একসঙ্গে মিলিত হওয়ার ঘটনা প্রতিফলিত করেযোগাভ্যাসের মূলমন্ত্র একাত্মতাকে।

এক নতুন যুগেরঅভ্যুদয় ঘটানোর মতো সম্ভাবনাময় হ’ল যোগসাধনা, যা নিশ্চিত করতে পারে শান্তি,সৌভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা এবং মানবজাতির সার্বিক অগ্রগতিকে।

ভদ্র মহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

সুউচ্চ হিমালয়পর্বতমালার আশীর্বাদ বর্ষিত হোক আপনাদের সকলের ওপর।

বহু সহস্রাব্দ ধরেআমাদের মুনি-ঋষিরা যে গঙ্গানদীর তীরে ধ্যান ও সাধনা করে গেছেন, সেখানে আয়োজিত যোগসাধনারএই বিশেষ উৎসবে আশীর্বাদ ও পূর্ণতা লাভ করুন আপনারা এই কামনা করি।

আধ্যাত্মিকতার শহরঋষিকেশ এবং পরমার্থ নিকেতনের ঐশ্বরিক পরিবেশে আপনাদের অবস্থান আনন্দের হোক এইপ্রার্থনা জানাই।

যোগসাধনায় উপকৃতহ’ন আপনারা সকলেই – এই প্রার্থনাও রইল আমার পক্ষ থেকে।

আন্তর্জাতিক যোগউৎসবের বিশেষ সাফল্য আমি কামনা করি।

ধন্যবাদ। আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।