আমি ১০-১২ নভেম্বর, ২০১৬ বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানসফরে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ আমার দ্বিতীয় জাপান সফর।
জাপানের সঙ্গে আমাদের বিশেষ কৌশলগত ও বিশ্বায়িত অংশীদারিত্বরয়েছে। ভারত ও জাপান একে অপরকে সুপ্রাচীন বৌদ্ধঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও উন্মুক্ত অংশগ্রহনমূলক এবং বিধিবদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থাপনারপ্রতি দায়বদ্ধতা র মধ্যে দিয়েদেখে থাকে ।
আজ ভারতে বিনিয়োগকারিদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের জাপান অন্যতম।কিন্তু অনেক জাপানি কোম্পানি আছে , যেগুলোর নাম ভারতের ঘরে ঘরে সুপরিচিত , ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেগুলোবহু দশক ধরে দায়িত্বের সঙ্গে জুড়ে আছে। টোকিওতে আমি ভারত ও জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীবা বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত মতবিনিময়ের আয়োজনে যোগ দে বো । আমাদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগেরযোগসূত্র আগামীতে আরও শক্তিশালি করতেই এই উদ্যোগ।
এই সফরে আমি ম হামান্য জাপান সম্রাটের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পাবো। ১১ইনভেম্বর টোকিওতে আমি য খ ন জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে মিলিত হবো, সেই বৈঠকে নিশ্চিতভাবেই দুদেশের দ্বিপাক্ষিকস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয়ের ইতিবাচক পর্যালোচনার দিকে তাকিয়ে আছি।
১২ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আমি কোবেতে মুম্বাই-আহমেদাবাদউচ্চগতির রেল পরিষেবা প্রযুক্তির আতুরঘর শিনকানসেন পরিদর্শনে যাবো। সেখাকারকাওয়াসাকির ভারি শিল্প সুবিধার ক্ষেত্র, যেখানে উচ্চগতি সম্পন্ন রেলওয়ে তৈরি হল,সেটাও পরিদর্শন করবো। আমাদের মধ্যে মজবুত সহযোগিতার ক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপরিষেবায় সহযোগিতা একটি উজ্জ্বল উদাহরন। এর মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগগতচুক্তি পুনরুজ্জীবিত হবে তাই নয়, সেইসঙ্গে ভারতে সুদক্ষ কাজের সুযোগও বাড়বে। উন্নতহবে আমাদের পরিকাঠামো। একই সঙ্গে আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মিশনেও শক্তি সঞ্চারিত হবে।