Maha-Shivratri symbolizes a union of divinity with a purpose, of overcoming darkness and injustice: PM Modi
Yoga is ancient, yet modern; it is constant, yet evolving: PM Narendra Modi
By practicing Yoga, a spirit of oneness is created – oneness of the mind, body and the intellect: PM
Our mind should always be open to new thoughts and ideas from all sides: PM Narendra Modi
The progress of humanity is incomplete without the empowerment of women: Shri Modi
The burden of stress takes a heavy toll and one of the sharpest weapons to overcome stress is Yoga: Shri Modi
Yoga is a passport to health assurance. More than being a cure to ailments, it is a means to wellness: PM Modi
Yoga makes the individual a better person in thought, action, knowledge and devotion: Prime Minister
Yoga has the potential to herald in a new Yuga of peace, compassion, brotherhood and all-round progress of the human race: PM

সকলকেই আমারভালোবাসা ও অভিনন্দন জানাই। 

এই বিশেষ সমাবেশেউপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। 

এই দিনটি আবারমহাশিবরাত্রির মতো একটি পূণ্য উপলক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 

উৎসবের কোন অভাবনেই আমাদের দেশে, কিন্তু এই বিশেষ উৎসবের পূর্বে আমরা যোগ করি ‘মহা’ শব্দটি। 

দেবতাও রয়েছেনঅনেক, কিন্তু মহাদেব শুধু একজনই। 

এমনকি, রয়েছে বহুমন্ত্রও। কিন্তু যে মন্ত্রটিকে চিহ্নিত করা হয় শুধুমাত্র দেবাদিদেব মহাদেবের জন্যইতা হল ‘মহামৃত্যুঞ্জয়ী মন্ত্র’। 

শিব দেবতার এমনইমহিমা। 

কোন নির্দিষ্টলক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের সঙ্গে ঐশ্বরিকতার মিলনেরই অপর নাম মহাশিবরাত্রি, যা তমসা এবংঅন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে জয়লাভের কথাই ঘোষণা করে। 

তা আমাদেরঅনুপ্রাণিত করে সাহসিকতার সঙ্গে দেবতার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য। 

শীত থেকে উজ্জ্বলসজীবতায় উত্তরণের মধ্য দিয়ে তা চিহ্নিত করে ঋতু বদলের পালাকে। 

মহাশিবরাত্রি উৎসবপালিত হয় সারা রাত ধরেই। সদা সতর্ক থাকার বোধকে জাগ্রত করে তোলে এই উপলক্ষটি।প্রকৃতির সুরক্ষা এবং পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেকর্মপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তা আমাদের সচেতন করে তোলে। 

আমার নিজের রাজ্যগুজরাটে অবস্থিত সোমনাথ। সাধারণ মানুষের আহ্বান এবং সেবা ও কর্তব্যের আকুতি আমাকেটেনে নিয়ে গেছে বিশ্বনাথের পুণ্যভূমি কাশীতে। 

সোমনাথ থেকেবিশ্বনাথ, কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম এবং কাশী থেকে কোয়েম্বাটোর – যেখানেই আমরামিলিত হই না কেন, ভগবান শিব বিরাজমান সর্বত্রই।  

দেশের এক প্রান্তথেকে অন্য প্রান্তে বসবাস কোটি কোটি ভারতবাসীর। তাই, মহাশিবরাত্রি উদযাপনে সকলেরসঙ্গী হতে পেরে আমি আনন্দিত।

 

মহাসমুদ্রে আমরাবিন্দু বিন্দু বারিকণা মাত্র। 

 

শতাব্দীর পরশতাব্দী ধরে, প্রতিটি যুগে এবং প্রতিটি সময়ে জীবনযাপন করে গেছেন অগণিত ভক্ত ও পুণ্যার্থীজন। 

 

বিভিন্ন প্রান্তথেকে তাঁদের আগমন। 

 

তাঁদের ভাষা হয়তোভিন্ন, কিন্তু ঐশ্বরিকতার জন্য তাঁদের আকুতি ও আকাঙ্ক্ষার প্রকৃতি কিন্তু সর্বদাইএক ও অভিন্ন। 

 

এই আকুতি দানা বেঁধেরয়েছে প্রতিটি মানব হৃদয়ে। কাব্য, সঙ্গীত এবং ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে আমাদের এইবসুন্ধরা। 

 

১১২ ফুট উঁচুআদিযোগী এবং যোগেশ্বর লিঙ্গের এই মূর্তির সামনে দণ্ডায়মান কাতারে কাতারে মানুষ। এএক অনন্য অভিজ্ঞতা। 

 

আগামীদিনে যে বিশেষস্থানটিতে আজ আমরা সমবেত হয়েছি তা হয়ে উঠবে সকলের প্রেরণার উৎসস্থল যেখানে অহং বোধবিসর্জন দিয়ে প্রত্যেকেই ব্রতী হবেন সত্যের উপাসনায়। 

 

সকল মানুষের মধ্যেশিবপ্রাপ্তি ঘটবে এই বিশেষ স্থানটিতেই। ভগবান শিবের অন্তর্ভুক্তির মহিমা আমরাস্মরণ করব তার মধ্য দিয়েই। 

 

যোগসাধনা আজঅতিক্রম করে এসেছে অনেকটা পথ। 

 

যোগসাধনা তথাযোগাভ্যাসের জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামে নানা ধরনের শিক্ষা ও অনুশীলন কেন্দ্রযেখানে শিক্ষা ও অনুশীলন হয় যোগাভ্যাসের। 

এটাই হল যোগসাধনারসৌন্দর্য – একদিকে যেমন তা সুপ্রাচীন, অন্যদিকে তেমনই তার প্রসার ঘটেছে আধুনিকযুগেও। তাই যোগ শাশ্বত, সদা বিবর্তনশীল। 

কিন্তু যোগের মূলমন্ত্রটি রয়ে গেছে অপরিবর্তনশীল।

এই মন্ত্রটিকেরক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই আমি উল্লেখ করছি এর কথা। 

নতুবা, আমাদের হয়তোআবিষ্কার করতে হবে অন্যকোন যোগসাধনার যা আমাদের আত্মাকে নতুন করে খুঁজে পেতেসাহায্য করবে এবং রক্ষা করবে যোগসাধনার ঐতিহ্যকে। 

যোগাভ্যাস তথাযোগসাধনা এক বিশেষ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে যা উত্তরণ ঘটায় জীব থেকে শিব-এ। 

हमारे यहां कहा गया है  – यत्र जीव: तत्र शिव:  

जीव से शिव की यात्रा , यही तो योग है।  

 

যোগাভ্যাসেরমাধ্যমে জন্ম নেয় অদ্বৈত বোধের। এই বোধ শরীর, মন ও বুদ্ধির অভিন্নতার। 

পরিবার, সমাজ,চারপাশের মানুষ, পাখি ও জীবজন্তু সহ প্রাণীকূল তথা গাছপালা যাদের সঙ্গে আমরা বাসকরি এই গ্রহটিতে, তাদের সঙ্গে মিলন ও সমন্বয়ের অভিন্নতারই অপর নাম যোগ তথাযোগসাধনা।

‘আমি’ থেকে ‘আমরা’ –এই বোধে উত্তরণ ঘটাতে আমাদের সাহায্য করে যোগ। 

व्‍यक्ति से समस्‍ती तक ये यात्रा है। मैंसे हम तक की यह अनुभूति ,  अहम से वयम तक का यह भाव-विस्‍तार ,  यही तो योग है।

ভারত হল এক অতুলনীয় বৈচিত্র্যের আধার।ভারতের এই বৈচিত্র্য একদিকে যেমন দৃষ্টি ও শ্রুতিগ্রাহ্য, অন্যদিকে তেমনই স্পর্শ,অনুভব ও আস্বাদনযোগ্য। 

এই বৈচিত্র্যই হল ভারতের মূল শক্তি যাসমগ্র ভারতকে এক অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। 

ভগবান শিবের কথা চিন্তা করলেই আমাদেরমানশ্চক্ষে ভেসে ওঠে হিমালয়ের বিরাটত্বের মধ্যে কৈলাসে তাঁর গরিমাময় উজ্জ্বলউপস্থিতি। যদি দেবী পার্বতীর কথা চিন্তা করি, তাহলে বিশাল মহাসাগরবেষ্টিতসৌন্দর্যমণ্ডিত কন্যাকুমারীর কথা আমাদের মনে পড়ে যায়। শিব-পার্বতীর মিলন হল হিমালয়পর্বতমালার সঙ্গে সঙ্গম মহাসমুদ্রের। 

শিব ও পার্বতী মিলন তথা অভিন্নতারই একবার্তা। 

অভিন্নতার এই বার্তার প্রকাশ ঘটেছেনানাভাবে। 

দেবাদিদেব মহাদেবের গলায় জড়িয়ে রয়েছেএকটি সাপ। আবার, গণেশ ঠাকুরের বাহন হল ইঁদুর। সাপ ও ইঁদুরের মধ্যে সম্পর্কেরজটিলতা আমাদের অজানা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রয়েছে তাদের সহাবস্থান। 

অন্যদিকে, দেব কার্তিকেয়র বাহন হল ময়ূর।সাপ ও ময়ূরের মধ্যে রয়েছে চরম বৈরী সম্পর্ক। কিন্তু লক্ষ্য করুন, তারাও কিন্তু বাসকরে পারস্পরিক সহাবস্থানের মধ্যেই। 

দেবাদিদেব মহাদেবের পরিবারিক বৈচিত্র্যসত্ত্বেও ঐক্য ও সম্প্রীতির বোধ ও অনুভূতি কিন্তু স্বমহিয়াম উজ্জ্বল। 

বৈচিত্র্য আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাসংঘাতের সৃষ্টি করে না। আমরা তাকে বরণ করে নিই পরম সমাদরে, আন্তরিকতার সঙ্গেই। 

আমাদের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যই হল দেব ওদেবীর সর্বত্র বিরাজমানতা। কোন পাখিই হোক কিংবা কোন জন্তু অথবা কোন বৃক্ষ – যে কোনএকটি যুক্ত দেব বা দেবীর সঙ্গে। 

দেব-দেবীকে যেমনভাবে আরাধনা করা হয়, সেভাবেইপুজো করা হয় কোন পাখি, জন্তু বা গাছকে। প্রকৃতির প্রতি এই যে শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমেরমনোভাব, এর থেকে বড় উদাহরণ আর কি-ই বা হতে পারে। প্রকৃতি ও ঈশ্বর সমার্থক। আমাদেরপূর্বপুরুষরা তাঁদের দৃষ্টির গভীরতার মাধ্যমে প্রমাণ করে গেছেন একথা। 

আমাদের শাস্ত্র ও পুঁথিতে রয়েছে  :   एकमसत ,  विप्रा: बहुधा वदन्ति 

যে নামেই মুনি-ঋষিরা তাকে অভিহিত করুন না কেন, সত্য একও অদ্বিতীয়। 

শৈশবকাল থেকেই এই সমস্ত গুণ বা ধর্মকে নিয়েই বড় হয়েছিআমরা। আর এইভাবেই দয়া, সহমর্মিতা, সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়েউঠেছে আমাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। 

যে সমস্ত মূল্যবোধকে গ্রহণ করে আমাদের পূর্বপুরুষরাতাঁদের জীবন অতিবাহিত করে গেছেন, তা হল  

সেই সমস্ত গুণ বা ধর্ম যা ভারতীয় সভ্যতাকে ধারণ করেরয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। 

সবদিক থেকেই নতুন নতুন মত ও চিন্তা গ্রহণ করার জন্যআমাদের মনের আগলটাকে খুলে দেওয়া উচিৎ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ আমাদের মধ্যে রয়েছেনএমন কিছু ব্যক্তি যাঁরা নিজেদের অজ্ঞতাকে আড়াল করার জন্য কঠোরভাবে নতুনচিন্তাভাবনা ও অভিজ্ঞতার স্রোতকে রুদ্ধ করে দিতে উদ্যত।

কোন ধ্যান-ধারণা বহু প্রাচীন – এই যুক্তিতে কোন কিছুঅস্বীকার বা অগ্রাহ্য করার প্রবণতা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। প্রয়োজন সেইচিন্তাভাবনাকে বিশ্লেষণ করে অনুভব ও উপলব্ধির চেষ্টা করা যাতে সহজবোধ্যভাবে তা বহনকরে নিয়ে যাওয়া যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। 

নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া মানবসমাজের অগ্রগতি অসম্পূর্ণ থেকেযায়। মনে রাখতে হবে, এখনকার উন্নয়ন নারীর উন্নয়ন নয়, বরং নারীর নেতৃত্বে উন্নয়ন। 

আমি গর্বিত যে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে মূল ভূমিকাইহল নারীর। 

এই ঐতিহ্যে রয়েছেন বহু দেবী যাঁরা নিয়মিতভাবে পূজিত হন। 

বহু সাধ্বী ও তপস্বিনীর জন্মভূমি হল ভারত। উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিম – সর্বত্রই তাঁরা বহন করে নিয়ে গেছেন সমাজ সংস্কারেরআন্দোলনকে। 

যা কিছু গতানুগতিক তা ভেঙ্গে-চূরে দিয়ে, সমস্ত বাধাঅতিক্রম করে তাঁরা এক নতুন পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। 

আপনাদের হয়তো শুনতে খুবই ভালো লাগবে যে ভারতে আমরা বলেথাকি – “নারী তু নারায়ণী, নারী তু নারায়ণী” অর্থাৎ, নারী হলেন এক ঐশ্বরিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ। 

প্রশ্ন হল যে পুরুষদের সম্পর্কে তাহলে আমরা কি বলেথাকি? এক্ষেত্রে কথাটি হল – “নরঃ তু করণী করে তো নারায়ণ হো যায়” অর্থাৎ, কোন পুরুষঈশ্বরত্ব লাভ করতে পারেন মহান কাজের মধ্য দিয়েই।  

পার্থক্যটা আপনারা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন। নারীর যেঐশ্বরিক মর্যাদা অর্থাৎ, “নারী তু নারায়ণী” কিন্তু নিঃশর্ত এক উচ্চারণ। কিন্তুপুরুষ মানুষের ঈশ্বরত্বে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে আরোপিত হয়েছে এক শর্ত বিশেষ।একমাত্র ভালো কাজের মধ্য দিয়েই এই লক্ষ্য পূরণে সফল হতে পারে সে। 

হয়তো এই কারণেই সদগুরু পরামর্শ দিয়ে গেছেন জগৎ সংসারেরমাতৃদেবী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে সঙ্কল্প গ্রহণের। কারণ মা হলেন এমনই একজন যিনিনিঃশর্তভাবেই সদা অন্তর্ভুক্ত। 

একুশ শতকের ক্রমপরিবর্তনশীল জীবনশৈলী নতুন নতুনচ্যালেঞ্জ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে আমাদের সামনে। 

মানুষের জীবনশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগও উৎকন্ঠার সাথে যুক্ত অসুখ-বিসুখ আজ একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে রোগসংক্রামক তাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু যা একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রামিতহয় না, তাকে আমরা রোধ করব কিভাবে? 

এই বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে বিষন্ন করে তোলে যা ভাষায়প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মানুষ যখন অপরাধ ও মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন নিজেরওপরই তাদের আর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

বর্তমান বিশ্ব শান্তির জন্য ব্যাকুল। এই শান্তি যুদ্ধ-বিগ্রহথেকে মুক্তির শান্তি নয়, বরং তা হল মনের শান্তি।  

উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার জন্য আমাদের চরম ক্ষতি হয়ে যেতেপারে। একমাত্র যোগাভ্যাস বা যোগসাধনার মাধ্যমে আমরা তা রোধ করতে পারি। 

যোগাভ্যাস যে মানুষের উদ্বেগ-উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্যকরে এবং অনেক অসুখ-বিসুখকেই নিয়ন্ত্রণে রাখে, এর দৃষ্টান্ত রয়েছে প্রচুর। দেহকেযদি আমরা মনের মন্দির রূপে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে যোগসাধনা হল সেই মন্দিরের স্থপতি। 

এই কারণেই স্বাস্থ্য বিমার একটি ছাড়পত্র বা পাসপোর্টবলে আমি মনে করি যোগসাধনাকে। কারণ যোগ শুধুমাত্র রোগমুক্তিই ঘটায় না, মানুষকেসুস্থ থেকে সুস্থতর করে তোলে। 

তাই যোগ হল একাধারে রোগমুক্তি ও ভোগমুক্তির এক বিশেষপথ। 

যোগসাধনা চিন্তা, কাজ, জ্ঞান ও নিষ্ঠার দিক থেকে একজনব্যক্তি মানুষকে আরও উন্নততর করে তুলতে পারে। 

যোগাভ্যাসকে শুধুমাত্র শরীর সচল রাখার লক্ষ্যে কয়েকটিশারীরিক ব্যয়াম মাত্র মনে করলে ভুল করা হবে। 

বিভিন্ন ফ্যাশন শো-এ মানুষ কিভাবে নিজেদের শরীরকে বিভিন্নভঙ্গিমায় নিয়ে যায় তা আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই যোগী নন। 

যোগাভ্যাস হল যে কোন ধরণের শারীরিক ব্যয়ামেরই অনেকঊর্ধ্বে। 

যোগসাধনার মধ্য দিয়ে আমরা জন্ম দিতে পারি এক নতুন যুগের– মিলন ও সম্প্রীতির এক নতুন অধ্যায়ের।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ভারত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনেরপ্রস্তাব উত্থাপন করে সকলেই সাদরে তা গ্রহণ করেছিল। 

২০১৫ এবং ২০১৬ – এই দুটি বছরেই ২১ জুন দিনটিমহাসাড়ম্বরে পালিত হয়েছে যোগ দিবস রূপে। 

কোরিয়া কিংবা কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা স্যুইডেন –বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই সূর্য প্রণামের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছেযোগসাধনাকে। সকলে মনোনিবেশ করেছেন যোগাভ্যাসে। 

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এইভাবে বিশ্বেরবিভিন্ন জাতির একত্রে মিলিত হওয়ার ঘটনা যোগের মহত্ব – মিলন ও অভিন্নতার বাণীইপ্রচার করেছে। 

এক নতুন যুগের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে যোগসাধনার। এইযুগ হল শান্তি, সহমর্মিতা, সৌভ্রাতৃত্ব এবং মানবজাতির সার্বিক বিকাশ ও অগ্রগতির একনতুন যুগ। 

সদগুরু যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে গেছেন তা হল অতিসাধারণ মানুষকেও যোগী করে তোলা। এই ধরনের মানুষেরা সংসারী হওয়া সত্ত্বেও জীবনযাপনকরেন অসাধারণভাবেই। প্রতিদিনই তাঁর অনুভব ও উপলব্ধি করেন নতুন নতুন অভিজ্ঞতার। যেকোন পরিস্থিতিতে যে কোন ব্যক্তিই হয়ে উঠতে পারেন একজন যোগী বা যোগসাধক। 

বহু উজ্জ্বল ও আনন্দময় মুখের সন্ধান পাচ্ছি আমি এখানে।পরম মায়া ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ছোটখাট বিষয়ের প্রতিও মনোযোগী হয়ে তাঁরাযেভাবে কাজ করে চলেছেন, তা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। এক বৃহত্তর লক্ষ্যে যেভাবেতাঁরা তাঁদের শক্তি ও উৎসাহকে নিয়োগ করেছেন, তাও আমি লক্ষ্য করেছি। 

যোগাভ্যাসকে গ্রহণ করার জন্য আদিযোগী অনুপ্রাণিত করবেনবহু প্রজন্মকেই। আমাদের সকলকে এখানে এইভাবে একত্রিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাইসদগুরুকে। 

ধন্যবাদ। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রণাম,বানকম।