Prime Minister inaugurates Vibrant Gujarat Global Summit 2017
India's strength lies in three Ds -Democracy, Demography and Dividend : PM
India has become the fastest growing major economy in the world: PM
Our govt is strongly committed to continue the reform of the Indian economy: PM
Our govt has placed highest priority to ease of doing business: PM
Our development needs are huge. Our development agenda is ambitious: PM

‘ভাইব্র্যান্টগুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই। সকলের জন্য এক সফল,আনন্দময় ও সমৃদ্ধ নববর্ষও আমি কামনা করি। ২০০৩ সালে খুবই সাধারণভাবে সূচনা হয় এইঅনুষ্ঠানটির। তারপর থেকেই এই সম্মেলন বিশেষভাবে সফল হয়ে আসছে ধারাবাহিকতার সঙ্গেই।

সহযোগীদেশ, সংস্থা ও সংগঠনগুলির কাছেও আমি এই উপলক্ষে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। এই তালিকায়রয়েছে জাপান, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস,অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্যুইডেন, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরবআমিরশাহী। ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’-এর সূচনাকালের দুই সহযোগী দেশ জাপান ও কানাডাকেআমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।

এইঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্বের বহু নামকরা প্রতিষ্ঠান। এই অংশীদারিত্বের জন্যআমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ তথা তরুণ শিল্পোদ্যোগীদেরকাছে আপনাদের এই উপস্থিতি বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনার কারণ। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতাছাড়া এই সম্মেলন এতগুলি বছর ধরে অনুষ্ঠিত হতে পারত না। প্রত্যেকটি শীর্ষ সম্মেলনইআগেরটির তুলনায় আরও ভালোভাবে ও বড় আকারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

বিশেষকরে, বিগত তিনটি সম্মেলন ছিল বেশ বড় আকারের। ১০০টিরও বেশি দেশের রাজনীতি ও বাণিজ্যজগতের কর্ণধারদের উপস্থিতি এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংস্থা ও সংগঠনগুলিরএকত্র সমাবেশ এই সম্মেলনকে প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিকতার মর্যাদা এনে দিয়েছে।

সম্মেলনেঅংশগ্রহণকারী সকলের কাছেই আমি এই মর্মে আবেদন জানাব যে আপনারা সকলেই সংযোগ ওযোগাযোগ রক্ষা করুন পরস্পরের সঙ্গে। কারণ, তা থেকে উপকৃত ও লাভবান হবেন আপনারাই।বাণিজ্য প্রদর্শনী সহ এখানকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলি আপনারা প্রত্যক্ষ ও পরিদর্শনকরুন। কারণ তাতে শত শত কোম্পানি তাদের উৎপাদিত পণ্য ও প্রক্রিয়ার সাহায্যে সাজিয়েতুলেছে এই প্রদর্শনীগুলিকে।

মহাত্মাগান্ধী এবং সর্দার প্যাটেলের জন্মস্থান গুজরাট ভারতের বাণিজ্য শক্তিরইপ্রতিনিধিত্ব করে। বহু বছর ধরেই বাণিজ্য ও শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে নেতৃত্বদান করেআসছে এই রাজ্যটি। বহু শতাব্দী আগে সুযোগের সন্ধানে এখানকার অধিবাসীরা পাড়ি দিতেনসাত সমুদ্র অতিক্রম করে। এমনকি আজও এই রাজ্য গর্ব অনুভব করতে পারে একথা চিন্তা করেযে এই রাজ্যেরই এক বিরাট সংখ্যক মানুষ বিদেশে বসবাসের মাধ্যমে সেখানকারকর্মপ্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা যেখানে যেখানে পাড়ি দিয়েছেন, গড়েতুলেছেন একটি করে মিনি গুজরাট। আমরা গর্বের সঙ্গেই উচ্চারণ করি, “গুজরাটবাসীরাযেখানেই বাস করুন না কেন, সেখানেই চিরকালের জন্য গড়ে তোলেন আর এক গুজরাট।”

গুজরাটেএখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঘুড়ি উৎসব। এই ঘটনা আমাদের আরও উঁচুতে উঠতে অনুপ্রাণিত করুক।

বন্ধুগণ!

আমিবরাবরই বলে এসেছি যে ভারতের মূল শক্তি মূলত তিনটি ‘ডি’-এর ওপর দাঁড়িয়েরয়েছে  :  ডেমোক্র্যাসি,ডেমোগ্রাফি এবং ডিমান্ড (অর্থাৎ, গণতন্ত্র, জনগোষ্ঠী এবং প্রয়োজন তথা চাহিদা)।

গণতন্ত্রের  গভীরতাই হল আমাদেরসবথেকে বড় শক্তি। অনেকেই বলে থাকেন যে সফল ও দ্রুত প্রশাসন গণতন্ত্রে কখনই সম্ভবনয়। কিন্তু গত আড়াই বছরে আমরা লক্ষ্য করেছি যে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানেওদ্রুত ফললাভ সম্ভব হয়ে উঠতে পারে।

বিগতআড়াই বছর ধরে রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার এক সংস্কৃতি ও বাতাবরণ গড়েতুলেছি আমরা। সুপ্রশাসনের মাপকাঠি হয়ে উঠছে রাজ্যগুলি। আমাদের এই প্রচেষ্টায়সহায়তা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

এবারআসি ভারতের জনগোষ্ঠীর কথায়। ভারতের রয়েছে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত এক যুবশক্তি।ভারতের মেধাবী, একনিষ্ঠ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ তরুণ ও যুবকরা বিশ্বে হয়ে উঠেছেন একঅতুলনীয় কর্মশক্তির প্রতীক। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইংরেজিভাষী একটি দেশ হল ভারত।আমাদের তরুণ ও যুবকরা শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের প্রত্যাশী নয়, বহু ঝুঁকিপূর্ণ কাজেওএগিয়ে যেতে তাঁরা আগ্রহী। তাঁরা উৎসাহী শিল্পোদ্যোগী হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণে।

চাহিদাতথা প্রয়োজন  প্রসঙ্গে আমি একথাই বলতে চাই যে দেশের বিকাশশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণী এখনদেশের বিপণন ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক চাহিদাই পূরণ করতে পারে।

যেজলরাশির বেষ্টনী ঘিরে রয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ডকে, তা আমাদের যুক্ত করেছে আফ্রিকা,মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ সহ বিশ্বের বড় বড় বাজারগুলির সঙ্গে।

প্রকৃতিওআমাদের পক্ষে বিশেষ সদয় ও অনুকূল। আমাদের তিনটি শস্য মরশুমে উৎপন্ন হয় প্রচুরখাদ্যশস্য, শাকসব্জি ও ফলমূল।

উদ্ভিদও প্রাণীজগতে আমাদের রয়েছে এক অতুলনীয় বৈচিত্র্য ।  আমাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার প্রতীকের মধ্যেরয়েছে এক বিশেষ সমৃদ্ধি যা এক কথায় অতুলনীয় এবং অসামান্য। দেশের বিদগ্ধজন ওপ্রাতিষ্ঠানিকতা স্বীকৃতি লাভ করেছে সারা বিশ্বেই। গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায়ভারত এখন রূপান্তরিত হয়েছে উন্নয়নশীল এক বিশেষ কেন্দ্রে। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ গড়ে তুলেছে আমাদের দেশই।

আমাদেরবিনোদন জগৎ আলোড়ন তুলেছে বিশ্ব জুড়ে। এ সমস্ত কিছুই অপেক্ষাকৃত ব্যয়সাশ্রয়ের মধ্যদিয়ে জীবনযাত্রার উন্নত মান সম্ভব করে তুলেছে।

বন্ধুগণ!

মূলতঃ,স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করে তোলা এবং দুর্নীতি ও যথেচ্চাচার দূর করার প্রতিশ্রুতিরমধ্য দিয়েই নির্বাচিত হয়েছে আমাদের সরকার। দেশের রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে এক আমূলপরিবর্তন সম্ভব করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য ও চিন্তাদর্শ। এই লক্ষ্যে দফায় দফায়আলোচনার পাশাপাশি বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি আমরা। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ারসঙ্গে কিভাবে যুক্ত রয়েছি আমরা তার কিছু কিছু দৃষ্টান্ত আমি এখানে তুলে ধরছি  :

·   শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্ক-ভিত্তিক প্রশাসনিকপ্রক্রিয়া থেকে সরে এসে আমরা গড়ে তুলেছি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি-ভিত্তিক এক সরকারিপ্রশাসন;

·   বৈষম্যের প্রশাসন থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিচালিতপ্রশাসনে পদার্পণ করেছি আমরা;

·   যথেচ্ছ হস্তক্ষেপের পরিবর্তে আমরা জোর দিয়েছিপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থার ওপর;

·   স্বজন পোষণের পরিবর্তে ক্ষেত্র বিশেষের চাহিদাঅনুযায়ী আমরা গড়ে তুলেছি এক নতুন ব্যবস্থা;

·   অর্থনীতিকে আমরা করে তুলেছি অ-ব্যবহারিক থেকে অনেকঅনেক বেশি মাত্রায় ব্যবহারিক।

আমাদেরএই কর্মপ্রচেষ্টায় ডিজিটাল প্রযুক্তি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমি বরাবরইবলে এসেছি যে প্রযুক্তি-চালিত পরিচালন ও প্রশাসন হল সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর প্রশাসন।নীতি পরিচালিত প্রশাসনের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি আমি। সিদ্ধান্ত গ্রহণেরক্ষেত্রে অনলাইন প্রক্রিয়া যথেষ্ট গতি ও স্বচ্ছতা এনে দিতে পারে। এই লক্ষ্যে নতুননতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ ও চালু করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা যাতে বৈষম্যেরঅবসান ঘটিয়ে স্বচ্ছতাকে প্রতিষ্ঠা করা যায়। আপনারা আমার একথার ওপর আস্থা রাখতেপারেন যে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল অর্থনীতির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছি আমরা। আপনাদেরঅনেকেই ভারতে এই ধরনের পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিলেন। আমি আজ একথা ঘোষণা করতেপেরে খুবই গর্ব অনুভব করছি যে আপনাদের সকলের চোখের সামনেই ঘটে গেছে এই বিশেষ ঘটনা।

গতআড়াই বছরে ভারতের সম্ভাবনাকে বাস্তবে প্রতিফলিত করতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সঠিকপথে চালিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে গেছি আমরা। এর ফলাফল যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক।জিডিপি-র হার বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, আর্থিক ঘাটতি কমিয়ে আনা, চলতি হিসাবখাতে ঘাটতি হ্রাস এবং সেইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির মতো উন্নয়নগুলিআমরা সম্ভব করে তুলেছি।

ভারতহল বর্তমানে বিশ্বের দ্রুত বিকাশশীল এক বৃহত্তম অর্থনীতি। বিশ্ব জুড়ে মন্দাজনিতপরিস্থিতি যখন অব্যাহত, তখন বিকাশ ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা রয়েছি এক বিশেষস্বাচ্ছ্বন্দ্যের অবস্থায়। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত হল এক উজ্জ্বল আলোকবিন্দু। বিশ্বসমৃদ্ধির এক বিশেষ চালিকাশক্তি হিসেবে ভারত আজ স্বীকৃত বিশ্ববাসীর কাছে।

আগামীবছরগুলিতে বিকাশের এই হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবংআন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বিশ্বের মোটবিকাশে ভারতের অবদান ছিল ১২.৫ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এগিয়ে রয়েছেআরও অনেক বেশি। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অংশ হয়তো বেশ কিছুটা কম, কিন্তু অর্থনৈতিকবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা পৌঁছে গেছি ৬৮ শতাংশের কাছাকাছি।

বাণিজ্যিককাজকর্মের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করার মতো বিষয়গুলিকে আমিসর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কারণ, তার মূল লক্ষ্য হল দেশের যুবশক্তির জন্যসুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি। এই শক্তিকে অবলম্বন করে কয়েকটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপেরবাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি আমরা। এরই অন্যতম হল পণ্য ও পরিষেবা কর।

দেউলিয়াবিধি, জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল, একটি নতুন সালিশি প্রচেষ্টার কাঠামো এবং একনতুন আইপিআর ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলছি। গড়ে তোলা হয়েছে নতুন নতুন বাণিজ্যিক আদালতও।আমরা কোন কোন লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, এ সমস্ত কিছুই হল তার কয়েকটি দৃষ্টান্ত মাত্র।ভারতীয় অর্থনীতির সংস্কার প্রচেষ্টায় আমার সরকার দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বন্ধুগণ!

বাণিজ্যিককাজকর্মকে সহজ করে তোলা র ওপর আমরা সর্বোচ্চ মাত্রায় গুরুত্ব আরোপ করেছি।লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলতে এবং বাণিজ্যিক ছাড়পত্র, রিটার্ন ওপদ্ধতিগত পরিদর্শনের বিষয়গুলিকে আমরা আরও বাস্তবমুখী করে তুলেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রেহাজার হাজার কার্যসূচির বাস্তবায়নের বিষয়গুলির ওপরও আমরা তীক্ষ্ণ নজর রেখেছি কারণ,আমাদের লক্ষ্য হল এক বিশেষ নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা। সুপ্রশাসনের যে প্রতিশ্রুতিআমরা দিয়েছি, তা পালনের লক্ষ্যে এগুলি হল আমাদের কয়েকটি প্রচেষ্টা মাত্র।

বিভিন্নসূচকে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে ভারত যে ক্রমশ শীর্ষে উপনীত হচ্ছে তাওলক্ষ্য করেছি আমরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষা ও প্রতিবেদনে প্রকাশ যে বিগত আড়াইবছরে নীতিগত ও প্রক্রিয়াগতভাবে ভারত যথেষ্ট উন্নত হয়ে উঠেছে। আর এর মধ্যেইপ্রতিফলিত হয়েছে ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক চিত্রটি।

বাণিজ্যিককাজকর্ম সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত এখন উন্নতি করেছে যথেষ্টমাত্রায়।

আঙ্কটাডপ্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন, ২০১৬ অনুযায়ী, ২০১৬-১৮ পর্যন্ত সম্ভাবনাময়অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত দখল করে নিয়েছে তৃতীয় স্থানটি।

বিশ্বপ্রতিযোগিতামুখিনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদন ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অনুযায়ী ভারত অতিক্রমকরে এসেছে আরও ৩২টি স্থান। ডব্ল্যুআইপিও এবং অন্যান্য সংস্থা প্রকাশিত বিশ্বউদ্ভাবন সূচক, ২০১৬ অনুযায়ী ১৬টি স্থান অতিক্রম করে এসেছি আমরা।

বিশ্বব্যাঙ্কের সার্বিক ফলাফল সূচক, ২০১৬ অনুসারে আমরা এখন অতিক্রম করে এসেছি আরও ১৯টিসোপান।

আপনারালক্ষ্য করেছেন যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা ও পদ্ধতিগুলিকে আন্তরিকভাবেই গ্রহণকরেছি আমরা এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা আরও এগিয়ে চলেছি। প্রায় প্রত্যেকটি দিনই আমরাআরও বেশি করে সংহতি ও সমন্বয়ের চেষ্টা করছি সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে। আমাদের নীতি ওপদ্ধতির ইতিবাচক ফল এক গভীর আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে আমাদের মধ্যে। শুধু তাই নয়,বাণিজ্যিক কাজকর্মের পক্ষে সহজতম স্থান হিসেবে প্রক্রিয়াগত ব্যবস্থাকে আরও সরল করেতোলার কাজে তা বিশেষভাবে উৎসাহ যুগিয়েছে আমাদের।

প্রায়প্রত্যেক দিনই আমাদের নীতি ও পদ্ধতিগুলিকে আরও বেশি মাত্রায় বাস্তবমুখী করে তোলারকাজে ব্যস্ত রয়েছি আমরা। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশকে আরও সহজ ও সরল করেতুলতে আমাদের এই বিশেষ কর্মপ্রচেষ্টা ।

বিভিন্নক্ষেত্রে নানাভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে আমরা আরও উদার করে তুলেছি। ভারত হলবর্তমানে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মুক্ত অর্থনীতির দেশ।

পরিবেশগতএই পরিবর্তন স্বীকৃতি লাভ করেছে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে। স্টার্ট আপস্থাপনের এক অনুকূল পরিবেশ বর্তমানে গড়ে উঠেছে এই দেশটিতে। বিশেষ উৎসাহের সঙ্গেউন্মেষ ঘটছে দেশের যুবশক্তির কর্মপ্রচেষ্টার।

গতআড়াই বছরে দেশের মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা স্পর্শ করেছে ১৩০ বিলিয়নমার্কিন ডলার। গত দুটি আর্থিক বছরে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ খাতে ইক্যুইটিরক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দুটি বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ বেশি। গতবছর প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

যেদেশগুলি থেকে আমরা আরও বেশি করে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ লাভ করে চলেছি সেগুলিরসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই বিনিয়োগ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মূলধনী বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে সবথেকেএগিয়ে। আবার, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি রাষ্ট্রেরমধ্যে নিজের স্থান করে নিয়েছে আমাদের দেশ।

এখানেইশেষ নয়। বিনিয়োগের ওপর রিটার্ন লাভের ক্ষেত্রে ভারত অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছেবিভিন্ন দেশকে। বেসলাইন লভ্যাংশ সূচক অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারত রয়েছে প্রথম স্থানে। 

বন্ধুগণ!

‘মেকইন ইন্ডিয়া’  হল বর্তমানে ভারতের এক বৃহত্তম ব্র্যান্ড। এর সুবাদে উৎপাদন, নকশা তৈরিএবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এক আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভারত।

আমিএখানে আপনাদের সকলের কাছে একথা জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত যে পৃথিবীর যেখানেযেখানেই আমি সফর করেছি, সেখানে আমি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কথাটি যদি পাঁচবার ব্যবহারকরি তাহলে সেই দেশ অন্তত ৫০ বার এই কথাটি উচ্চারণ করেছে। সত্যি কথা বলতে কি, ‘মেকইন ইন্ডিয়া’ – এই ব্র্যান্ডটি বিনিয়োগের একটি বিশেষ গন্তব্যরূপে স্বীকৃতি এনেদিয়েছে ভারতকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্যোগ এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরসহযোগিতার সমন্বয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটি গড়ে তুলেছি আমরা। সকলের জন্যই এরদ্বার এখন আমরা মুক্ত করে দিয়েছি।

এইসুযোগ ভারতের রাজ্যগুলিকে সুস্থ প্রতিযোগিতামুখী করে তুলেছে। সুপ্রশাসন এবং অনুকূলপরিবেশের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতামুখিনতা গড়ে উঠেছে। এই প্রতিযোগিতার মানসিকতা ১৫বছর আগে ছিল ভিন্ন প্রকৃতির। তখন একটি রাজ্য থেকে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ছিল হয়তোঅন্যটির থেকে অনেক বেশি। আবার দ্বিতীয়টি হয়তো পণ্য উৎপাদন করত তৃতীয়টির থেকে আরওঅনেক বেশি মাত্রায়। কিন্তু বর্তমানে সুপ্রশাসন, অনুকূল পরিবেশ, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাও বাণিজ্যিক পরিবেশকে এতটাই মৈত্রীপূর্ণ করে তোলা হয়েছে যে সবক’টি রাজ্যকেইসমানভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে। আমিগুজরাট সরকারকে এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই কারণ, প্রগতিশীল নীতিরমাধ্যমে সুপ্রশাসন সম্ভব করে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রেবিশেষভাবে সফল হয়েছে এই রাজ্যটি। গুজরাট সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেইএজন্য আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

‘মেকইন ইন্ডিয়া’  কর্মসূচির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে।

আমিআপনাদের কাছে একথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ভারত বর্তমানে নির্মাণের ক্ষেত্রেবিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম একটি দেশ। নবম স্থান থেকে ভারত এইভাবেই অতিক্রম করে এসেছেউন্নতির এক বিশেষ সোপান। আমাদের মূল্য সংযোজিত মোট উৎপাদন ২০১৫-১৬ সালে বৃদ্ধিপেয়েছে ৯ শতাংশ হারে। এর পূর্ববর্তী তিন বছরের ৫ থেকে ৬ শতাংশের তুলনায় এই হারযথেষ্ট বেশি।

এসমস্ত কিছুই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের ক্রয় ক্ষমতারও বৃদ্ধিঘটিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রকৃত সম্ভাবনার কথা যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে আমরাদেখব যে তার মাত্রা আরও অনেক বেশি।

একটিদৃষ্টান্ত আমি এখানে তুলে ধরতে পারি। ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প আগামী ১০বছরে বৃদ্ধি পেতে চলেছে প্রায় পাঁচগুণ। একইভাবে, গাড়ির বাজারে ভারতের স্বল্প দামেরযানবাহন বিশ্বের বাজারে যথেষ্ট আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে।

আমাদেরএই উন্নয়ন প্রক্রিয়া যাতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠতে পারে এবং গ্রাম ও শহরেরমানুষকে এর সঙ্গে যুক্ত করা যায়, সরকারি পর্যায়ে তা আমাদের সম্ভব করে তুলতে হবে।

ভারতহল এমনই একটি দেশ যেখানে গ্রাম ও শহরের বিকাশের মধ্যে আমরা এক সমন্বয় গড়ে তুলতেআগ্রহী। আমাদের নীতির যে সুফল তা যাতে সমানভাবেই পৌঁছে যায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে সেইলক্ষ্যে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে আমাদের পরিকল্পনাতেও। বিকাশের এই যাত্রাপথেতার সুফল যাতে দরিদ্র কৃষকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় তা নিশ্চিত করাও আমাদেরঅগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।

এমনএক ভারত গড়ে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে থাকবে  :

·   উন্নততর কর্মসংস্থানের সুযোগ;

·   বেশি মাত্রায় আয় ও উপার্জনের সু্যোগ;

·   অধিকতর ক্রয় ক্ষমতা;

·   উন্নততর জীবনযাপনের সুযোগ এবং

·   জীবনযাত্রার মানের ক্রমবিকাশ।

বন্ধুগণ!

যেউন্নতির সড়ক বেয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি, তা কিন্তু বেশ দীর্ঘ। আমাদের উন্নয়নেরকার্যসূচিও খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক কারণ  :

·   প্রত্যেকের মাথার ওপর আমরা আচ্ছাদন গড়ে তুলতে চাই।

কারণ, আমরা মনে করি প্রত্যেক দরিদ্র মানুষেরইএকটি নিজস্ব বাড়ি থাকা প্রয়োজন। ২০২২ সালের মধ্যে এই স্বপ্নকে সফল করে তোলার কাজেআমরা এগিয়ে চলেছি।

·   প্রত্যেকের জন্য আমরা নিশ্চিত করতে চাইকর্মসংস্থানের সুযোগ।

দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮০ কোটিই হলেনতরুণ ও যুবক যাঁদের বয়স ৩৫-এরও কম। তাঁদের জন্য যদি উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টি করা যায়, তাহলে গড়ে উঠবে এক নতুন ভারত। শুধু তাই নয়, দেশ হয়ে উঠবে আরওশক্তিশালী। সম্ভাবনাময় এই প্রাণশক্তিকে তাই আমাদের কাজে লাগানো প্রয়োজন।

·   দূষণমুক্ত  জ্বালানি গড়েতুলতে আমরা আগ্রহী;

·   দ্রুতগতিতে  আমরা গড়ে তুলতে চাইসড়ক ও রেলপথ;

·   খনিজ অনুসন্ধান প্রচেষ্টা যাতে অনুকূল সবুজপরিবেশকে কোনভাবেই বিঘ্নিত না করে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে আমাদের।

·   আমাদের নগর পরিকাঠামো যাতে শক্তপোক্ত হয়েওঠে সেদিকেও নিয়োজিত রয়েছে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টা।

·   আমাদের জীবনধারণের মান যাতে ক্রমশ উন্নত হয়ে উঠতেপারে সেদিকেও লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।

পরবর্তীপ্রজন্মের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছি আমরা। মূল ওসামাজিক পরিকাঠামো এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামো সহ সবক’টি ক্ষেত্রেই অগ্রগতিকেনিশ্চিত করে তুলতে চাই আমরা। পণ্য মাশুল করিডর, শিল্প করিডর, উচ্চগতির পরিবহণব্যবস্থা, মেট্রো রেল প্রকল্প, স্মার্ট নগরী, উপকূল অঞ্চল, আঞ্চলিক বিমানবন্দর,জল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জ্বালানি প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আমাদের এই যাত্রাঅব্যাহত থাকবে। মাথাপিছু বিদ্যুতের যোগান ও ব্যবহারকেও আমরা আরও উন্নত করে তুলতেচাই। এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব করেতুলতেও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

আমরাআগ্রহী দেশের পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও বিকাশশীল করে তুলতে। আর এজন্য প্রয়োজন উপযুক্তপর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলা।

যখনইআমরা পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির কথা উচ্চারণ করি, তখনই আমরা ১৭৫ গিগাওয়াটের কথাবলে থাকি। একটা সময় ছিল যখন দেশ মেগাওয়াটের বেশি কিছু চিন্তা করতে পারত না। কিন্তুআজ দেশের জ্বালানি ক্ষেত্র গিগাওয়াটের স্বপ্নকে সফল করে তুলতে এগিয়ে চলেছে। যে ১৭৫গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আমরা স্থির করেছি তারমধ্যে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি ও পরমাণু বিদ্যুৎ। বিশ্ব উষ্ণায়নে আক্রান্তসমগ্র বিশ্ব। তাই বিশ্বকে এর হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা এক নতুন স্বপ্ন দেখতেশুরু করেছি। বিশ্ব উষ্ণায়ন দূর করতে আমাদের এই ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্যজ্বালানি যে এক বিশেষ অবদানের সৃষ্টি করবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এজন্য আমরাআহ্বান জানিয়েছি সমগ্র বিশ্বের কাছে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগেরলক্ষ্যে। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে কোন সীমা আমরা বেঁধে দিইনি। এজন্য আমাদের সংশ্লিষ্টনীতিগুলিকেও আমরা অনেক অনেক বেশি মাত্রায় প্রগতিশীল করে তুলেছি। আগামী শতাব্দীরজন্য আমাদের দায়িত্বই হল প্রকৃতির শোষণ নয়, বরং প্রকৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা।আর এইভাবেই বিশ্বে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করতে আমরা আগ্রহী।

সড়কনির্মাণ এবং নতুন নতুন রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য শিলান্যাসের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধিপেয়ে চলেছে বহুগুণে। বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের এই প্রচেষ্টা এক নজিরবিহীন সুযোগএনে দিয়েছে। আপনারা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় বিনিয়োগের মাধ্যমেযুক্ত হতে পারেন। আমাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে  :

·   হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যার;

·   নমনীয় দক্ষতা থেকে বৈজ্ঞানিক দক্ষতা;

·   প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে সাইবার নিরাপত্তা এবং

·   ওষুধ উৎপাদন থেকে পর্যটন।

আমিবিশেষ দৃঢ়তার সঙ্গেই ঘোষণা করতে চাই যে ভারত একা যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছেবিশ্বের কাছে, সমগ্র মহাদেশে তার তুলনা মেলা ভার। আজ আমরা যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধারদ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছি, তা আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে পুরো শতাব্দী জুড়েই। আমরা এসমস্ত কিছুই করে তুলতে আগ্রহী নিরন্তরভাবে দূষণমুক্ত এক অনুকূল পরিবেশের মধ্যদিয়ে। পরিবেশ সুরক্ষার কাজে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রকৃতির প্রতি আমাদেরদায়িত্বশীলতার কথা আমরা বিশেষভাবে তুলে ধরতে চাই কারণ, যুগ যুগ ধরে সেটাই হলভারতের আদর্শ।

আমিআপনাদের স্বাগত জানাই এমন এক ভারতে যেখানে রয়েছে  :

·   ঐতিহ্য ও শান্তির এক বিশেষ সমন্বয়;

·   সহমর্মিতা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার এক বিশেষ মিলনক্ষেত্র;

·   উদ্যোগ ও পরীক্ষানিরীক্ষার এক নিরন্তর প্রচেষ্টাএবং

·   বিভিন্ন সুযোগ ও সুবিধার এক বিস্তৃত ক্ষেত্র।

আমিআরও একবার আপনাদের স্বাগত জানাতে চাই এই আমন্ত্রণের মাধ্যমে যে আপনারা অংশীদার হয়েউঠুন:

·   বর্তমান ভারতের এবং

·   আগামীদিনের ভারতের।

আমিএই মর্মে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, যেকোন প্রয়োজনে আমার হাত উদারভাবে প্রসারিতথাকবে আপনাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।

ধন্যবাদ।