শ্রদ্ধেয়লক্ষ্মীকান্তজি বলছিলেন যে আমি শেষরাতে জাপান থেকে ফিরে সকালবেলাতেই আপনাদের মাঝেএসে হাজির হয়েছি। এখান থেকে কর্ণাটক যাব, সেখান থেকে মহারাষ্ট্র যাব, তারপরমাঝরাতে দিল্লি ফিরেও মিটিং রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কোন রাজ্যেএকরাতের বেশি যদি আমি থেকে থাকি সেটি হল গোয়া। আজ আমি ব্যক্তিগতভাবে গোয়ার লক্ষলক্ষ মানুষকে অভিনন্দন জানাই, কৃতজ্ঞতা জনাই, গোয়া রাজ্য সরকারকেও অভিনন্দন জানাই।মনোহরজি, লক্ষ্মীকান্তজি ও তাঁদের টিমের সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনেক বছর পরএতবড় আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান ‘ব্রিক্স সামিট’ গোয়াতে আয়োজিত হয়েছে। এত ধুমধামকরে এর আয়োজন করা হয়েছিল যে বিশ্বের তাবৎ বড় বড় দেশের নেতাদের মুখে মুখে ফিরছিল,গোয়া – গোয়া, গোয়া, গোয়া। আপনাদের সকলের সক্রিয় সহযোগিতাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,আমি অত্যন্ত আনন্দিত। রাজনৈতিক অস্থিরতার রোগে গোয়ার উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছিল।এখানে কী কী চলতো – সব আপনারা জানেন। ফলে, গোয়ার সামর্থ্য, গোয়াবাসীর শক্তিকেফলেফুলে বিকশিত হতে দেয়নি বহুকাল। মনোহরজি একটি দৃষ্টান্তমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতিরজন্ম দিয়েছেন, তাঁকে অভিনন্দন জানাই। সেজন্য তাঁকে অনেক সহ্য করতে হয়েছে, অনেকভালো ভালো বন্ধুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি গোয়ায় একটি স্থায়ী সরকারস্থাপনের প্রচেষ্টায়, নীতিনির্ভর সরকার চালানোর খাতিরে ২০১২ থেকী ২০১৭ পর্যন্ত দুইদলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের খাতিরে অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। সেজন্য তাঁকেঅনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।
আমি খুব খুশি।আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও প্রত্যেকেই জানেন, আমি কোন্ দলের নেতা। মুখ্যমন্ত্রীলক্ষ্মীকান্তজি কোন্ দলের নেতা – তাও সকলে জানেন। আমার বন্ধু মনোহরজি কোন্ দলেরনেতা – তাও কারও জানতে বাকি নেই। আমরা পরস্পরের প্রশংসা করলে কেউ তাঁকে সৌজন্য বলেভাবতেই পারেন। কিন্তু আমি আনন্দিত, সপ্তাহখানেক আগে ভারতের একটি বড় সংবাদমাধ্যম দেশেরসকল ক্ষুদ্র রাজ্যগুলির পরিস্থিতি সমীক্ষা করেছে, প্রাপ্য তথ্য ব্যবহার করে নানাদিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে গোয়াকে একটি ঝিকিমিকি তারাহিসেবে পাওয়া গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়নথেকে পর্যটন, গোয়া সবদিক দিয়ে উন্নতির চরম শিখরে পথে ছোট রাজ্যগুলির মধ্যেইতিমধ্যেই সর্বাগ্রে স্থান করে নিয়েছে, গোয়াবাসীদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এটাসম্ভব হত না। সেজন্য আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
আমি যখনগুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন মনোহরজি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আজআপনাদের একটি গোপন তথ্য দিই। যেকথা দশটি বাক্যে বলতে হয়, সেই কথকে মাত্র একটিবাক্যে বলার বিরল ক্ষমতা রয়েছে মনোহরজির। অনেক সময় বুঝতে পারতাম না। তিনি আইআইটিথেকে পাশ করা প্রযুক্তিবিদ, আর আমি অত্যন্ত সাধারণ ব্যক্তি। কিন্তু গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তাঁর রচিত প্রত্যেকটিপ্রকল্প অনেক গুরুত্ব দিয়ে অধ্যয়ন করতাম। কেমন করে তিনি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতরমানুষদের স্বার্থে নানা প্রকল্প রচনা করেছেন, পথ খুঁজেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়িতকরেছেন। পরবর্তীকালে শ্রদ্ধেয় লক্ষ্মীকান্তজি সেই পথই সফলভাবে অনুসরণ করেছেন।দেশের অনেক রাজ্যের মানুষই জানেন না, সেই কবে থেকে গোয়ায়, গৃহ আধার যোজনা, বার্ষিকতিন লক্ষ টাকা কম আয়ের মহিলাদের ১ হাজার ৫০০ টাকা সাহায্য, বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্যদয়ানন্দ সরস্বতী সুরক্ষা যোজনা, এর মাধ্যমে প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি প্রবীণ নাগরিকমাসে ২ হাজার টাকা পান। এই সব কিছু ভারতের আর কোনও রাজ্যে নেই বন্ধুগণ, শুধুগোয়াতেই আছে। ভাই ও বোনেরা, গোয়া আর মধ্যপ্রদেশ যৌথভাবে ‘লাডলী লক্ষ্মী যোজনা’শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ১৮ বছর বয়সী কন্যাসন্তানরা ১ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে। গোয়ার৪৫ হাজার কন্যা এই অধিকার পেয়েছে।
মনোহরজি আরলক্ষ্মীকান্তজির দূরদৃষ্টি দেখুন, আজ এখানে একটি বৈদ্যুতিন নগরীর ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু তার আগে, এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য কেমন যুবশক্তি চাই সেকথামাথায় রেখে এই দূরদ্রষ্টারা ‘সাইবার স্টুডেন্ট যোজনা’র মাধ্যমে স্থানীয় নবীনপ্রজন্মের মানুষদের ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযান শুরু করেছেন। এজন্যআমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই।
আমরা জানি,অসুস্থ হলে কত টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষের এত টাকা কোথায় পাবেন? গোয়া সরকার এইসমস্যা নিরসনে প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার পরিবারকে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকাপ্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। এতে গোয়ার প্রায় সকল পরিবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা কবচেরঅধিকারী হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র কৃষক ও মৎস্যজীবী। এই উন্নয়নযাত্রাকেদেশের প্রধানমন্ত্রী নতমস্তকে সেলাম জানাচ্ছে। আমার আনন্দ হয়, গর্ব হয়।
আজ এখানে তিনটিপ্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। মোপা নিউ গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট।পঞ্চাশোর্ধ গোয়াবাসীদের সকলেই স্মরণাতীত কাল থেকে শুনে আসছেন যে গোয়াতে বিমানবন্দরহবে। বিমানে চড়ে পর্যটকরা আসবেন, পর্যটনের উন্নয়ন হবে; এ যাবৎ ক্ষমতায় আসাপ্রত্যেক সরকার আপনাদের এই স্বপ্ন দেখিয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীঅটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা রাখার সদিচ্ছা থেকে যেপ্রকল্পের নক্শা এঁকেছিলেন আজ আমি তা বাস্তবায়িত করার সুযোগ পেলাম।
গোয়ার জনসংখ্যা১৫ লক্ষ। এই ব্যবস্থা বিকশিত হলে আপনাদের জনসংখ্যার তিনগুণেরও বেশি পর্যটক প্রতিবছর এ রাজ্যে আসবেন। প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ। কল্পনা করতে পারেন, আপনাদের পর্যটননির্ভর আয় কতগুণ বৃদ্ধি পাবে! আর গোয়ার পর্যটন বৃদ্ধি পেলে ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রশক্তিশালী হবে। গোয়ার নবীন প্রজন্মের মানুষেরা কর্মসংস্থান পেলে এখানকার অর্থনৈতিকউন্নয়ন অবশম্ভাবী।
ভাই ও বোনেরা,আজ এখানে একটি বৈদ্যুতিন পরিকাঠামো নগরীরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। কেউভাববেন না যে, কেবল কোনও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট গড়ে উঠবে। একবিংশ শতাব্দীতে ডিজিটালপ্রযুক্তিতে শিক্ষিত, নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেসামর্থ্যবান হয়ে উঠবে। এটা শুধু গোয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না, গোয়ার নবীনপ্রজন্মকেই কেবল কর্মসংস্থান দেবে না, ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। গোয়া হয়েউঠবে একটি পাওয়ার স্টেশন। গোটা একবিংশ শতাব্দী এই প্রচেষ্টা সুফলদায়ক হবে।
ভাই ও বোনেরা,আজ এখানে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হতে যাচ্ছে Mine counter measure vessels programme -এর। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও আমাদের আর অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকামানায় না। নিজের ক্ষমতা নিয়ে লড়াই করা আর নিজে দেশের স্বার্থে শহীদ হওয়ার গৌরবইআমাদের মূল প্রেরণাশক্তি যোগায়। যে দেশে ৩৫ বছরের কম বয়সী নবীন প্রজন্মের মানুষরয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ মিলিয়ন, তেজস্বী, ক্ষুরধার, বুদ্ধিমান, উদ্ভাবনীশক্তিসম্পন্ন যুবশক্তি রয়েছে তঁদের নিরাপত্তার জন্য এত হাজার হাজার কোটি টাকারঅস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানি করতে হয় কেন? আজ গোয়ার মাটিতে সামুদ্রিকনিরাপত্তা ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়ার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করাহচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,সম্রাট আকবরের রাজসভায় নবরত্ন ছিলেন, তাঁদের গুণের চর্চা এত বছর পর আজও হয়। আমারসৌভাগ্য, আমার টিমেও তেমনই অনেক রত্ন রয়েছেন। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল রত্নহল আপনাদের গোয়ার সন্তান মনোহর পাররিকর। অনেক বছর পর দেশ এমন যোগ্যতাসম্পন্নরক্ষামন্ত্রী পেয়েছে, যিনি আমার নিরাপত্তা বাহিনীর চল্লিশ বছর পুরনো সমস্যাসমাধানে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দকইচল্লিশ বছর ধরে ঝুলে থাকা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের ‘এক পদ এক পেনশন’ দাবি পূরণেঅসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। দেশের জন্য আত্মবলিদানে সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীরএই দাবি পূরণের জন্য আমি মনোহরজিকে অভিনন্দন জানাই। এমন একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরজন্ম দেওয়ার জন্য এই মাটি ও গোয়াবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ এই এমসিপিএরমাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে, এই ক্ষেত্রে উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
আমার প্রিয়গোয়াবাসী ভাই ও বোনেরা,
গত ৮ তারিখ রাতআটটায়, আমার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শুনে কোটি কোটি গরিব মানুষ দীর্ঘদিন পরসুখনিদ্রায় যেতে পেরেছেন। কিন্তু কয়েক লক্ষ মানুষের রাতের ঘুম উড়ে গেছে, বাজারেঘুমের ওষুধ কিনতে যেতে হয়েছে।
সেদিন আমরাকালো টাকার বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, দেশের সৎ ও পরিশ্রমীমানুষদের সেই লড়াইকে নতুন লক্ষ্য প্রদানের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণকরেছি। সামান্য কিছু মানুষ নিজস্ব ভ্রান্ত দৃষ্টিকোণ থকে এর সমালোচনা করছেন।
দেশেরঅর্থনীতিবিদরা যদি দেশের অর্থনীতি বুঝে বিশ্লেষণ করেন, পুরনো সরকারগুলি, নেতাদেরপরিমাপের দাঁড়িপাল্লাটি আমরা সরকারে আসার পর বদলে নিতেন, তা হলে তাঁদের কোনওসমস্যাই হত না। তাঁদের বোঝা উচিৎ ছিল দেশের মানুষ অনেক আশা নিয়ে দীর্ঘদিন পর এমনসংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নির্বাচন করেছেন। ভাই ও বোনেরা, আপনারাই বলুন, ২০১৪ সালেআপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন কি না? আপনারা যখন আমাকে এই দয়িত্বদিয়েছিলেন, তখন আপনারাও জানতেন যে, এই কাজ কত কঠিন! সবাই জানতেন! সরকারে আসার পরইসুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম করি।বিশ্বের কোথায় কোথায় আমাদের দেশ থেকে কালো টাক গচ্ছিত রয়েছে; কেমনভাবে এই ব্যবসাচলছে, প্রত্যেক ছ’মাসে একবার এই টিম সুপ্রিম কোর্টকে তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানায়।পূর্ববর্তী সরকারগুলি এই কাজ করেনি বলেই তো আমরা শুরু করেছি। কথায় বলে, পুত্রেরলক্ষ্মণ প্রতিপালনে! আমার প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রথম দিনই এমনই বড় কড়াসিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনও জানতাম না যে ৮ তারিখের নেওয়া পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে!আমরা কোনও কিছুই লুকোইনি। বারবার সতর্ক করেছি। দেশকে কখনও কখনও অন্ধকারে রাখিনি।সততার সঙ্গে বারবার মনের কথা খুলে বলেছি।
ভাই ও বোনেরা,বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বিগত ৫০-৬০ বছরে এমন কিছু চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যারফলে আমরা সেসব দেশ থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহে অসমর্থ। সেজন্য পুরনো চুক্তি বাতিল করেনতুন চুক্তি সম্পাদন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আমেরিকার মতো দেশকে আমি বোঝাতে সফল হই, আরওকয়েকটি দেশকেও বুঝিয়ে নতুন চুক্তি সম্পাদনে রাজি করাই যাতে সেসব দেশে আমাদের দেশেরবেইমানদের জমা রাখা কালো টাকা উদ্ধার করতে পারি। কিছু দেশকে এখনও বুঝিয়ে উঠতেপারিনি। চেষ্টা জারি রেখেছি। সাফল্য পেতেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যপ্রস্তুত।
আমরা জানি,আপনারাও জানেন যে দিল্লির কোনও বাবু গোয়াতে ফ্ল্যাট কিনেছেন। ফ্ল্যাট নির্মাতারপ্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর তো কাজই বাড়ি বানানো। কিন্তু যাঁর সাত পুরুষেকেউ গোয়ায় ছিলেন না, জন্ম হয়েছে অন্য কোথাও, কাজ করেন দিল্লিতে, বড় বাবু তিনিফ্ল্যাট কিনেছেন, কার নামে? নিজের নামে কি আর তাঁরা ফ্ল্যাট কেনেন? আমরা এ ধরনেরবেনামী সম্পত্তির মালিকদের শায়েস্তা করার আইন এনেছি। এখন আমরা আইনি হামলা করব। এইসম্পত্তি দেশের, এই সম্পত্তি গরিবের আর আমার সরকার শুধু দরিদ্র পরিবারকেই রক্ষাকরবে, দরিদ্র পরিবারগুলিকি সাহায্য করবে!
আমরা জানি,বাড়িতে বিয়েশাদির সময় গয়না-অলঙ্কার কেনা হয়। স্ত্রীর জন্মদিনেও গয়না কিংবা সোনারকিছু কেনা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকা নিয়ে যাও, গয়না কিনে আনো, বিল কাটা, হিসেবরাখার প্রয়োজন নেই! এরকমই চলছিল যুগ যুগ ধরে। আমরা নিয়ম করেছি, ২ লক্ষ টাকার বেশিমূল্যের সোনার গয়না কিনলে আপনার প্যান দিতে হবে, বিল দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তেরওবিরোধিতা হয়েছিল। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, অর্ধেকেরও বেশি সাংসদ আমাকে এই বিলনা আনার অনুরোধ করেছিলেন, অনেকে এমনকি আমাকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানানোর সাহসকরেছেন। যেদিন আমি তাঁদের নামোল্লেখ করব, পরদিন থেকে তিনি কেমন করে নিজস্ব এলাকায়মুখ দেখাবেন? ভাই ও বোনেরা, ৭০ বছরের রোগ, আর আমাকে তা ১৭ মাসের মধ্যে নির্মূলকরতে হবে।
ভাই ও বোনেরা,আমরা আরেকটি কাজ করেছি। পূর্ববর্তী সরকারগুলিও একাজ করেছে। আমাদের দেশে গয়না কিনলেকোনও এক্সাইজ ডিউটি লাগতো না। পূর্ববর্তী সরকার সামান্য নামমাত্র এক্সাইজ ডিউটিচালু করেছিল। গ্রামে গয়নার দোকান কটা আর থাকে? বড় শহরে ৫০-১০০টি থাকে। তাদের অনেকক্ষমতা। রাশভারি সাংসদদেরও এরা পকেটে পুরে রাখেন। সেজন্য এই আইন আনতে গেলে সবচাইতেবেশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমার সহযোগী সাংসদদের কাছ থেকে। সাহেব ও তো আমারপরিচিত, সাহেব ওকে তো আয়কর বিভাগ লুটে নিচ্ছে, এমন সব অনুরোধ! আমি তখন দুটো কমিটিগঠন করার কথা ভাবি। এরা কথা বলুন, তর্ক করুন, আলোচনা-সমালোচনা চলুক। আগের সরকারওএই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে, বিল ফিরিয়ে নিয়েছে। চাপের মুখে আমি বিল ফেরাই নি। আমিসৎভাবে দেশ চালাতে চাই। আমি গয়নার দোকানগুলিকে আশ্বস্ত করি। তদের বলি, কেউ যদিঅন্যায়ভাবে আপনাদের কাছে অর্থ দাবি করে, আপনারা ফোনে সেসব কথাবার্তা রেকর্ড করেঅভিযোগ করুন। দেখবেন, কিভাবে কাজ হয়! এই পদক্ষেপ নেওয়ার পর যারা আমাকে চেনেন না,তঁরা তখনও বুঝতে পারেননি, মোদী কী কী করতে পারে! ভাই ও বোনেরা, আমি দেশের জন্যঘর-পরিবার সবকিছু ত্যাগ করে এসেছি! অনেককে বাধ্য হয়ে খারাপ কিছু করতে হয়। সবাইবেইমান কিংবা চোর হন না। সুযোগ পেলে তাঁরা সৎপথে ফিরে আসতে চান। এই ধরনের মানুষইসংখ্যায় বেশি। আমি তাঁদের সামনে প্রকল্প রাখি যে, আপনাদের কাছে হিসেবের বাইরে টাকাথাকলে ইসিএস আইন মেনে জরিমানা জমা দিন। এক্ষেত্রেও আমি ক্ষমা করিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরাবুদ্ধিমান হন। তাঁরা এই প্রকল্প অনুসারে টাকা জমা করায় স্বাধীনতার ৭০ বছর পরপ্রথমবার ৬৭ হাজার কোটি টাকার জরিমানা সমেত কর জমা হয়েছে। আর গত দু’বছরের হোটেলসার্ভে, রেইডের মাধ্যমেও ডিক্লারেশনের মাধ্যমে আরও এক লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকারাজকোষে জমা পড়েছে।
আমরা যখন জন ধনঅ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিই, তখন সংসদে কিরকম হাসিঠাট্টা হয়েছিল, অনেকেই হয়তোভোলেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন, এসব সমালোচনা, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপে আমি পিছিয়ে আসব! আরেমোদীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলেও সে ভয় পায় না। আমরা সরকারে এসেই প্রধানমন্ত্রী জন ধনযোজনার মাধ্যমে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি। প্রায়২০ কোটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার লাভ এখন দেশবাসী টের পাচ্ছেন। আমরাগরিবদেরও আজ থেকে এক বছর আগে ডেবিট কার্ড ইস্যু করানোর কাজ শুরু করেছি। সেই ডেবিটকার্ড দিয়ে তাঁরা বাজার থেকে অনেক জিনিস কিনতে পারছেন। এসব আমরা কোনও রাজনৈতিকউদ্দেশ্য নিয়ে করিনি। ধীরে ধীরে দেশের আর্থিক অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য আলাদা-আলাদাওষুধ প্রয়োগ করছি। ধীরে ধীরে মাত্রা বৃদ্ধি করছি।
কিন্তু গরিবদেরমন কত ধনী দেখুন। আমরা জিরো ব্যালেন্সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ছাড়পত্র দিলেওগরিবরা অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে ২০০, ৫০০ বা ১০০০ টাকা ঠিক জমা করেছেন। এভাবে জন ধনযোজনার মাধ্যমে দেশের রাজকোষে ৪৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছেন তাঁরা। সাধারণমানুষের ক্ষমতাকে এভাবে চেনা যায়। আমরা ২০ কোটি পরিবারকে রুপে কার্ড ইস্যু করারব্যবস্থা করি। পাশাপাশি একটি গোপন অভিযান চালায় আমার অত্যন্ত বিশ্বস্ত একটি দল। দশমাস ধরে তাঁরা নতুন নোট ছেপে গোপনে পৌঁছনোর জন্য তৈরি হয়ে পড়ে। এই কাজটি গোপন নারাখলে, সামান্য টের পেলেই রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকা সাদা করার ব্যবস্থা করেফেলতো বেইমানরা।
আর তারপর, ৮তারিখ রাত ৮টায় দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিলাম। সে রাতেই আমিবলেছি, কিছুদিন আপনাদের কষ্ট হবে। আজ আমি দেশের কোটি কোটি মানুষকে নতমস্তকে শ্রদ্ধাজানাই। সিনেমা হল-এ লাইন লাগালেও তো ঝগড়া বেঁধে যায়। কিন্তু আমার দেশের আপামর জনগণঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এর সামনে লাইনে দঁড়িয়ে যে ধৈর্যের পরিচয় তাঁরাদিচ্ছেন তা অকল্পনীয়। সবাই বলছেন, ঠিক করেছে। কষ্ট হচ্ছে, পায়ে ব্যথা হচ্ছে,কিন্তু দেশের জন্য ভালো হচ্ছে।
আমি আজ এই সভায়দাঁড়িয়ে দেশের সকল ব্যাঙ্ক কর্মচারী ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানাই। এক বছরে একজন ব্যাঙ্ককর্মচারীকে যতটা কাজ করতে হয়, তার থেকে বেশি কাজ তাঁরা বিগত এক সপ্তাহ ধরে করেছেন।আমি খুব খুশি। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি, অনেক ৭০-৭৫ বছর বয়সী প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীও এই সময়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁদের সহকর্মীদের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকদেরমতো বিনা পারিশ্রমিকে। অনেক নবীন বন্ধু তাঁদের জন্য এবং লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টাদাঁড়িয়ে থাকা প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বড়ি থেকে চেয়ার এনে দিয়েছেন। তেমনই দেখছি,অনেক মা ও বোনেরা ব্যাঙ্কের লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের জলখাইয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, বিশেষ করে দেশের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা এই কাজকে সফলকরতে কাজ করছেন। এই সাফল্য আমার ঘোষণায় নয়, এই সাফল্য এসেছে কয়েক লক্ষ বেইমান ছাড়া১২৫ কোটি ভারতবাসীর ভালোবাসা ও আশীর্বাদে।
ভাই ও বোনেরা,আমাদের দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রায় ৯০ দিন ধরে প্রস্তুতি চলে। পুলিশপ্রশাসন, সিআরপিএফ, এসআরপি, বিএসএফ, সকল সরকারি কর্মচারী ও আধিকারিক, সকল রাজনৈতিকদলের কোটি কোটি কর্মী ৯০ দিন ধরে পরিশ্রম করে নির্বাচন সম্পন্ন করে। তারপরও কতঅভিযোগ থেকে যায়।
ভাই ও বোনেরা,আমি আপনদের কাছে ৫০ দিন সময় চেয়েছি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাকে সময় দিন। তারপর যতত্রুটি পাবেন, আমার ভুল পেলে দেশের যে কোনও চৌমাথায় দাঁড় করিয়ে আপনারা যে সাজাইদিন না কেন আমি তা মাথা পেতে নেব।
কিন্তু আমারদেশের মানুষ দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের প্রতি ক্রমঅগ্রসরমান। এদেশে ৮০ কোটি মানুষ,৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। সেজন্যই যারা রাজনীতি করতে চান করুন, যাদেরলক্ষ কোটি বেহিসেবি টাকা বাতিল হয়ে গেছে, তারা তো কাঁদবেনই, নোংরা ওভিযোগ করবেনই।কিন্তু অধিকাংশ সৎ ও পরিশ্রমী মানুষেরা আমার সঙ্গে এগিয়ে চলুন, মাত্র ৫০ দিন কষ্টকরলেই আপনারা যেমন ভারত চান, প্রায় সেরকমই গড়ে তুলতে পারব।
অনেকে কষ্টপাচ্ছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। এটা আমার অহংকার নয়। ভাই ও বোনেরা, আমি খারাপ ওঅসততাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। দেশবাসীর কষ্ট অনুভব করতে পারি। কিন্তু মাত্র ৫০দিনের মধ্যেই এই কষ্ট লাঘব হবে। নিশ্চিতভাবেই ৫০ দিনে আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানেসফল হলে আর মশাও গলতে পারবে না। সত্যের জয় হবে, সততার জয় হবে। অনেকে লুকিয়ে গঙ্গায়টাকা ভাসিয়ে দিচ্ছেন। অনেক ছেলে ও ছেলের বউ টাকা বাঁচাতে বৃদ্ধা মায়ের অ্যাকাউন্টেআড়াই লক্ষ টাকা জমা করেছেন, আমি সেই বৃদ্ধা মায়েদের আশীর্বাদ নিশ্চিতভাবেই পাব।তাঁদের আশীর্বাদ এই কর্মযজ্ঞকে নিশ্চিত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যারা টুজিদুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছিলেন, তারাও আজ চার হাজার টাকারপুরনো নোট বদলাতে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মনে মনে আমাকে অভিশাপ দিচ্ছেন। তাঁদেরঅভিশাপ আমাদের যাত্রাপথকে আরও মসৃণ করবে।
আরে, ১২৫ কোটিমানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের জোর না থাকলে এসব কি করতে পারতাম। কত সরকার তো এলগেল। আপনাদের কষ্ট দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে অমরত্ব প্রদান করছে। দেশেরভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থ্যেই এই সামান্য কয়েকদিনেরকষ্ট। গতকাল আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি যুদ্ধের পক্ষে কথাবললে, আমি বলেছিলাম, এতে জনগণের দুর্দশার সীমা থাকবে না, বিদ্যুৎ সরবরাহ অনিয়মিতহয়ে পড়বে, নিয়মিত জিনিসপত্র অপ্রতুল হবে, রেলযাত্রা বিঘ্নিত হবে, রেলপথেসেনাবাহিনী চলাচল করবে, তখন কী করবেন? উপদেশ দেওয়া খুবই সরল, বাস্তবায়িত করা খুবকঠিন।
আমি দেশবাসীকেগুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক করতে চাই। যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেপারছেন না, ধরা পড়ার ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন, তাঁরা মুখে আমার প্রশংসা করছেন, আরবন্ধুকে ফোন করে জমানো টাকা কিভাবে বাঁচাবেন তা নিয়ে পরামর্শ করছেন। তারপর এক সময়নিরাশ হয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, লবণের দাম বেড়ে গেছে! ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকার নোট দিয়ে সাধারণমানুষ কি লবণের প্যাকেট কেনেন? ৭০ বছর ধরে যে লুট চলছে তা বন্ধ হলে প্রতিক্রিয়া তোহবেই। ভিখারিও এখন ১০০০ টাকার নোট নিচ্ছে না।
ভাই ও বোনেরা,সৎ মানুষের কোনও ভয় নেই। ৫০০ টাকার নোট চারটে ১০০ টাকার নোটের বদলে দুষ্ট লোকেরহাতে তুলে দেবেন না। কিংবা ৮টি ১০০ টাকার নোটের বদলে পুরনো ১০০০ টাকার নোট। আগামী৩০ ডিসেম্বরের আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে এগুলি বদলানোর অনেক সময় পাবেন। আপনার ৫০০ টাকারমূল্য চারশো নিরানব্বই টাকা একশো পয়শা । কারও কথায় ভুলবেন না। গুজবে কানদেবেন না।
ভাই ও বোনেরা, হয়তো আপনার অজান্তেইকোনও কাকা, মামা, ভাই, কিনা প্রয়াত পিতা কিছু হিসাব বহির্ভূত টাকা রেখে গেছেন। এতেআপনার কোনও পাপ নেই। আপনি জরিমানা দিয়ে কালই সেই টাকা জমা করে দিন। তা না হলে, ৩০ ডিসেম্বরের পর আপনাদের বিরুদ্ধে আরওকঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন যে যা বলি, আমি তাঅবশ্যই করে দেখাই। স্বাধীনতার পর থেকে যারা হিসেব বহির্ভূত টাকা জমা করেছেন সবখুঁড়ে বের করব। প্রয়োজনে এই কাজে অসংখ্য নতুন নতুন মানুষকে নিয়োগ করব। দুর্নীতিদূরীকরণের উদ্দেশ্যে আমার মাথায় এমনই অনেক প্রকল্প খেলা করছে। এসব আমি দেশের সৎপরিশ্রমী অসংখ্য গরিব মানুষের স্বার্থে করছি। তারা যাতে দু’বেলা খেতে পান, মাথারওপর ছাদ পান, ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করতে পারেন, তাঁদের বাড়ির বয়স্ক মানুষ ও রোগীরাযেন চিকিৎসার সুযোগ পান – এসব দেখা আমার দায়িত্ব।
আমি গোয়াবাসীদের আশীর্বাদ চাই। আপনারাউঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে আমাকে আশীর্বাদ করুন। দেশ দেখুক, দেশের অগণিত সৎ ওপরিশ্রমী মানুষেরা দেখুক। সাবাশ, আমার গোয়ার ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের নতমস্তকেপ্রণাম জানাই। আপনাদের করতালি, গোটা দেশের সৎ মানুষদের করতালির প্রতীক।
ভাই ও বোনেরা, আমি জানি কেমন সবশক্তিশালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। আমি জানি, কারা আমার বিরুদ্ধে। ৭০ বছরধরে যারা লুটেছেন, তারা আমাকে বেঁচে থাকতে দেবেন না, আমার সর্বনাশ চান তারা। তারাযা পারেন – করুন ভাই ও বোনেরা, ৫০ দিন আমাকে সাহায্য করুন। দেশ ৫০ দিন আমার পাশেথাকুক। জোরে করতালি দিয়ে আমার আহ্বানে সাড়া দিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।