মঙ্গলবার এখানেনীতি আয়োগ আয়োজিত এক বিশেষ বৈঠকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ‘আর্থিকনীতি – ভবিষ্যতের লক্ষ্যে’ এই বিষয়টি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী।
বিশেষজ্ঞ ওঅর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনাকালে কৃষি, দক্ষতা বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি,কর ব্যবস্থা ও মাশুল নীতি, শিক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, আবাসন, পর্যটন, ব্যাঙ্কিং,প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও পরিসংখ্যান-চালিত নীতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যেভবিষ্যতের কর্মপন্থা সহ অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। এইপ্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামতও প্রধানমন্ত্রীর সামনেতুলে ধরেন।
বৈঠকেঅংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনদের মতামত, পরামর্শ ও চিন্তাভাবনার জন্য তাঁদের ধন্যবাদজানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দক্ষতা বিকাশ ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে উদ্ভাবনীচিন্তাভাবনার জন্য তিনি তাঁদের আহ্বান জানান।
সংসদে বাজেটপেশের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রকৃত অর্থনীতিরওপর তা এক বিশেষ প্রভাব ফেলবে। কারণ, আমাদের বর্তমান বাজেট পেশের সময়সূচি অনুযায়ীব্যয় অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় বর্ষার প্রারম্ভে। এরফলে, বর্ষার প্রাক্-মরশুমেরউৎপাদনশীলতার সময়ে সরকারি কর্মসূচিগুলি তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে পড়ে। এই বিষয়টিসম্পর্কে বিশেষ চিন্তাভাবনা করেই বাজেট পেশের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানানশ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই নতুন ব্যবস্থায় নতুন অর্থ বছর শুরু হওয়ার আগেইব্যয়-বরাদ্দ অনুমোদনের কাজ সম্পূর্ণ হবে।
এদিনের বৈঠকেউপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীশ্রী রাও ইন্দরজিৎ সিং এবং নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান শ্রী অরবিন্দ পানাগারিয়া সহকেন্দ্রীয় সরকার ও নীতি আয়োগের পদস্থ আধিকারিকরা।
মঙ্গলবারের এইবৈঠকে উপস্থিত থেকে যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও মতবিনিময়ে মিলিত হন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন – অধ্যাপক প্রবীণ কৃষ্ণ, অধ্যাপক সুখপালসিং, অধ্যাপক বিজয় পাল শর্মা, শ্রী নীলকান্ত মিশ্র, শ্রী সুরজিৎ ভাল্লা, ডঃ পুলকঘোষ, ডঃ গোবিন্দ রাও, শ্রী মাধব চবন, ডঃ এন কে সিং, শ্রী বিবেক দাহেজিয়া, শ্রী প্রমথসিনহা, শ্রী সুমিত বসু এবং শ্রী টি এন নিনান।