India is being seen as a bright spot. Growth is projected to remain among the highest in the world: PM
In less than 3 years, our government has transformed the economy: PM Modi
Financial markets can play an important role in the modern economy, says the Prime Minister
Government is very keen to encourage start-ups. Stock markets are essential for the start-up ecosystem: PM
My aim is to make India a developed country in one generation: PM Narendra Modi

এইনতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে মন্দাকবলিত। উন্নত রাষ্ট্র এবং উদ্ভূত বাজার উভয়েরই বিকাশের গতি এখন যথেষ্ট মন্থর। এইপরিস্থিতিতে একমাত্র উজ্জ্বল বিন্দু হয়ে উঠতে পেরেছে ভারত। এখানে বিকাশের হার ওগতি এখন বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

দ্রুতউন্নয়নশীল এক বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে ভারতের এই উঠে আসা কিন্তু একদিনে সম্ভব হয়নি।আমরা কিভাবে এই পথ অতিক্রম করে এসেছি তা উপলব্ধি করার জন্য ২০১২-১৩-র দিকে আমাদেরএকবার ফিরে তাকানো উচিৎ। ঐ সময় আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল এক বিপজ্জনকমাত্রায়। টাকার বিনিময় হার নেমে আসছিল দ্রুত গতিতে এবং মুদ্রাস্ফীতির হারও ছিল বেশঊর্ধ্বে। শুধু তাই নয়, চলতি হিসাব খাতে ঘাটতি তখন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই এ দেশেরঅর্থনীতিতে আস্থা ও বিশ্বাস ক্রমশ কমে আসছিল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে। ফলে,তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন ভারতের দিক থেকে। ব্রিক্‌স রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ভারতকেইসবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। 

কিন্তুমাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সরকার অর্থনীতির পুরো পরিস্থিতিটাই বদলে দিতে পেরেছে।প্রতি বছরই আর্থিক ঘাটতিকে আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছি। এরই ফলশ্রুতিতে দেশে চলতিহিসাব খাতে ঘাটতি এখন খুবই কম। ২০১৩ সালে নগদ ঘাটতির ফলে গৃহীত ঋণ শোধ করাসত্ত্বেও বিদেশি মুদ্রার মজুতভাণ্ডার এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। মুদ্রাস্ফীতির হারশুধু কমই নয়, পূর্ববর্তী সরকারের দুই অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি থেকে তা এখন নেমে এসেছে৪ শতাংশেরও কমে। অন্যদিকে, সরকারি বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে।মুদ্রাস্ফীতি হারের মোকাবিলায় একটি নতুন আর্থিক নীতি আইনের সাহায্যে বলবৎ করাহয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা করের সংবিধান সম্মত সংশোধনের বিষয়টি বহু বছর ধরেই আটকে ছিল।কিন্তু বর্তমানে এটি অনুমোদিত হয়েছে এবং বহু প্রতীক্ষিত পণ্য ও পরিষেবা বিল এখনবাস্তবে রূপায়িত হতে চলেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার লক্ষ্যেও আমরাএগিয়ে গিয়েছি অনেকটাই। আমাদের এই সমস্ত নীতি রূপায়ণের সুবাদে প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগের পরিমাণ এখন পৌঁছে গেছে এক রেকর্ড মাত্রায়। বিমুদ্রাকরণ উন্নয়নের গতিকেস্তব্ধ করে দিয়েছে – এই দাবি করা সত্ত্বেও আমাদের সমালোচকরা স্বীকার করতে বাধ্যহয়েছেন যে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যায়নি। 

একটিবিষয় এখানে পরিষ্কার করে দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান সরকার বলিষ্ঠ ও বহু চিন্তাভাবনাপ্রসূত আর্থিক নীতিগুলিকে অনুসরণ করা থেকে কোন অবস্থাতেই পিছিয়ে আসবে না। কারণ, আমাদেরপদক্ষেপে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কোন সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব না।দেশের স্বার্থে প্রয়োজন পড়লে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও আমরা দ্বিধা বোধ করব না।বিমুদ্রাকরণ একটি দৃষ্টান্ত মাত্র। স্বল্পমেয়াদে এজন্য কষ্ট ভোগ করতে হলেও আখেরেদীর্ঘ মেয়াদি সুফল লাভ তাতে সম্ভব। 

আধুনিকঅর্থনীতিতে আর্থিক বাজারের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ, তা সঞ্চয়কে আরওগতিশীল করে তোলে, সঞ্চয়কে চালিত করে উৎপাদনশীল বিনিয়োগের পথে। 

তবে,ইতিহাসে আমরা দেখেছি যে আর্থিক বাজার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে তা ক্ষতিরও কারণহয়ে দাঁড়ায়। সুনিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফইন্ডিয়া (সেবি) গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। শেয়ার বাজারকে আরও চাঙ্গা ও বলিষ্ঠ করে তোলারকাজে সেবির এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। 

সাম্প্রতিককালেফরওয়ার্ড মার্কেট্‌স কমিশনের অবলুপ্তি ঘটেছে। পণ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেননিয়ন্ত্রণেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেবিকে। নিঃসন্দেহে এটি এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।কারণ, পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বাজারের ওপর সেবির কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।অন্যদিকে, কৃষি বাজারগুলি নিয়ন্ত্রণ করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। এর ওপর আবার বহুপণ্যই দরিদ্র ও অভাবী মানুষ কিনে থাকে সরাসরি, বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে নয়। এইকারণেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্টসংবেদনশীল। 

আর্থিকবিপণন ব্যবস্থার কাজকর্মকে সফল করে তুলতে হলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই যথেষ্টমাত্রায় ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। আমি খুবই আনন্দিত যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফসিকিউরিটিজ মার্কেট্‌স (এনআইএসএম) সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণদানেরমাধ্যমে তাঁদের দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়ার কাজ করে আসছে। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য হলএক ‘দক্ষ ভারত’ গড়ে তোলা। ভারতীয় যুবসমাজকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের যুবশক্তিরসঙ্গে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। তাই, ক্ষমতা তথা দক্ষতাবৃদ্ধির কাজে এই প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা যথেষ্ট জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানতেপেরেছি যে প্রতি বছর ১ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো প্রার্থী এনআইএসএম-এর পরীক্ষায় বসেন। এপর্যন্ত ৫ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী শংসাপত্র লাভ করেছেন এনআইএসএম থেকে। 

সুনিয়ন্ত্রিতশেয়ার বাজারের জন্য ভারত ইতিমধ্যেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেবৈদ্যুতিন ব্যবস্থার প্রয়োগ আমাদের বাজারগুলিকে এখন আগের থেক অনেক বেশি স্বচ্ছ করেতুলেছে। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই কাজের জন্য সেবির গর্বিত হওয়ার কথা। 

তাসত্ত্বেও আমাদের শেয়ার ও পণ্য বাজারের ক্ষেত্রে এখনও অনেক কিছু করাই বাকি। আর্থিক বিষয়সংক্রান্ত সংবাদপত্রগুলি যখন আমি পাঠ করি, তখন আইপিও-র সাফল্যের ঘটনা আমার নজরেআসে। কয়েকজন উৎসাহী শিল্পোদ্যোগী কিভাবে হঠাৎ কোটিপতিতে পরিণত হয়েছেন সে ঘটনাওআমার চোখ এড়িয়ে যায় না। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে উৎসাহিতকরতে আমার সরকার বিশেষভাবে আগ্রহী। স্টার্ট আপ-এর উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলারক্ষেত্রে শেয়ার বাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবংঅর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেয়ার বাজারের সাফল্য সম্পর্কে প্রশংসাই কিন্তুযথেষ্ট নয়। সম্পদ সৃষ্টির কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু আমার কাছে সেটাইআসল উদ্দেশ্য নয়। শেয়ার তথা সিকিউরিটি বাজারের আসল মূল্য নিহিত থাকে তার অবদানেরমধ্যে। এই অবদানগুলি হল  : 

·   জাতির বিকাশ প্রচেষ্টায় 

·   সবক’টি ক্ষেত্রের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় 

·   বিরাট সংখ্যক নাগরিকের কল্যাণ প্রচেষ্টায়। 

সুতরাং,আর্থিক বাজার পুরোপুরি সফল কিনা, তা নির্ধারণ করার জন্য এই তিনটি চ্যালেঞ্জেরমোকাবিলা করা প্রয়োজন। 

প্রথমত,আমাদের শেয়ার বাজারের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিৎ উৎপাদনশীল উদ্দেশ্যে মূলধনবৃদ্ধি। তবে, শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে তা পরিচালনার বিষয়টি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এইপরিস্থিতিতে আমাদের ভাবনা-চিন্তা করা প্রয়োজন যাতে মূলধন যোগানের আসল লক্ষ্য থেকেবাজারের প্রবণতা কখনই ভিন্নমুখী না হয়ে পড়ে। 

দেশেরএক বিরাট সংখ্যক নাগরিকের কল্যাণে রূপায়িত প্রকল্পগুলির জন্য মূলধনের যোগান বাড়িয়েযাওয়া যে আমাদের শেয়ার বাজারের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিৎ তা নিশ্চিত করে তুলতেহবে। এই প্রসঙ্গে আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করব পরিকাঠামো ক্ষেত্রটির। বর্তমানে আমাদেরঅধিকাংশ পরিকাঠামো প্রকল্পেই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লগ্নির ব্যবস্থা করে সরকার।পরিকাঠামো ক্ষেত্রে মূলধনী বাজারের লগ্নির ঘটনা খুবই বিরল। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিকেসম্ভাবনাপূর্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের বিষয়টি দীর্ঘ মেয়াদি হওয়া প্রয়োজন।প্রায়ই বলা হয় যে সহজে ভাঙানো যায় এরকম কোন দীর্ঘ মেয়াদি বন্ড আমাদের বাজারে নেই।এজন্য অনেক কারণও দর্শানো হয়ে থাকে। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই এটি এক সমস্যাবিশেষ যারসমাধান একমাত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞরাই ভাবনা-চিন্তা করে বের করতে পারেন। এজন্য তাঁদেরসঠিকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। আমি আপনাদের কাছে এই মর্মে আহ্বান জানাব যেপরিকাঠামো প্রসারের কাজে দীর্ঘ মেয়াদে মূলধনের যোগান দেওয়ার জন্য মূলধন বাজারকেআপনারা সঠিকভাবে পরিচালনা করুন। বর্তমানে শুধুমাত্র সরকার কিংবা বিশ্বব্যাঙ্ক অথবাজেআইসি-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণে দীর্ঘ মেয়াদেলগ্নি করতে সক্ষম। কিন্তু এই পথ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসতে হবে আমাদের। বন্ড বাজারকেনিশ্চিতভাবেই পরিকাঠামো খাতে দীর্ঘ মেয়াদি লগ্নির এক উৎস রূপে গড়ে তুলতে হবে। 

নগরপরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে যে এক বিশাল মূলধন চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে আপনারা সকলেইঅবগত। বর্তমান সরকার সূচনা করেছে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক ‘স্মার্ট নগরী’ কর্মসূচির।এই প্রেক্ষিতেও আমি বিশেষভাবে হতাশ যে আমাদের বর্তমানে কোন মিউনিসিপাল বন্ডমার্কেট নেই। এই ধরনের বাজার সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাধা ও সমস্যা তো থাকবেই, কিন্তু একদক্ষ উদ্ভাবকের কাজই হল এই জটিল সমস্যার নিরসন করা। তা কি নিশ্চিত করতে পারবে সেবিকিংবা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত দপ্তর? ভারতের অন্তত ১০টি শহরেীক বছরের মধ্যেই মিউনিসিপালবন্ড যাতে চালু করা যায়।

দ্বিতীয়ত,সমাজের এক বৃহত্তম অংশ অর্থাৎ, কৃষকদের কাছে সুফল পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বাজারেরমাধ্যমে। এই কাজে সাফল্য কতখানি তা পরিমাপ করা যাবে গ্রামের ওপর তার ফলাফলে, দালালস্ট্রিট কিংবা লুটিয়েন্স দিল্লির মাধ্যমে নয়। এই মাপকাঠির দিক থেকে বিচার করলে একদীর্ঘ পথ আমাদের এখন অতিক্রম করতে হবে। কৃষি প্রকল্পগুলিতে উদ্ভাবনী পদ্ধতিতেমূলধনের যোগান নিশ্চিত করতে হবে আমাদের শেয়ার বাজারগুলিকে। আমাদের পণ্যবাজারগুলিকে করে তুলতে হবে কৃষকদের পক্ষ উপযোগী। তা যেন শুধুমাত্র আন্দাজ বা আগামহিসাব-নিকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। জনসাধারণের অনেকেই বিশ্বাস করেন যেকৃষকদের ঝুঁকি কমানোর কাজে শেয়ার বাজারের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবেভারতের কৃষক সমাজের এ সম্পর্কে ধারণা প্রায় নেই বললেই চলে। এটাই সত্যি বা প্রকৃতঘটনা। যতদিন না আমরা পণ্য বাজারকে সরাসরিভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড় করাতে পারব, ততদিনপর্যন্ত তা আমাদের অর্থনীতিতে একটি বহুমূল্য অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।কারণ, সেটিকে একটি প্রয়োজনের হাতিয়ার রূপে আমরা এখনও গড়ে তুলতে পারিনি। ই-নামঅর্থাৎ, প্রযুক্তিচালিত জাতীয় কৃষি বাজার চালু করেছে বর্তমান সরকার। ই-নাম-এর মতোএকটি তাৎক্ষণিক বাজারকে শেয়ার বাজারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করে কৃষকদের কাছেতার সুফল পৌঁছে দিতে হবে সেবিকে। 

তৃতীয়ত,আর্থিক বাজার থেকে যাঁরা লভ্যাংশ অর্জন করেন, কর প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের উচিৎজাতি গঠনের কাজে অবদান সৃষ্টি করা। বিভিন্ন কারণে বাজার থেকে যাঁরা আর্থিক লাভ ঘরেতোলেন, করবাবদ তাঁদের অবদানের মাত্রা খুবই নগন্য। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার জালিয়াতিকিংবা বেআইনি কাজ-কারবারের ফলেও এই বিষয়টি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আবার কোন কোন ক্ষেত্রেআমাদের কর আইন সংক্রান্ত কাঠামোর জন্যই হয়তো বা করের অবদান খুবই সামান্য। বিভিন্নধরনের আর্থিক আয়ের ক্ষেত্রে স্বল্প বা শূন্য করের সুযোগ দেওয়া হয়। বাজারেরকাজকর্মের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান কতটুকু সে সম্পর্কেচিন্তাভাবনা করার জন্য আমি আপনাদের আহ্বান জানাব। এই অবদানকে সৎ, দক্ষ এবং স্বচ্ছউপায়ে বাড়িয়ে তোলার কথা আমাদের সকলকেই চিন্তাভাবনা করতে হবে। এর আগে, একটা ধারণাকাজ করত যে কর সংক্রান্ত কিছু কিছু সুযোগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ অসৎকাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। আপনারা জানেন যে কর সংক্রান্ত ঐ সংস্থানগুলি সরকারের পক্ষথেকে সংশোধন করা হয়েছে। তাই, এখন আমাদের সামনে সময় এসেছে, সরল ও স্বচ্ছ অথচ সৎ ওপ্রগতিশীল এক কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার। 

বন্ধুগণ, 

আমিজানি যে আর্থিক বাজারগুলির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে আমাদের বাজেটের ক্ষেত্রে। আবার,বাজেটের বিশেষ প্রভাব রয়েছে দেশের প্রকৃত অর্থনীতিতে। বর্তমানে যে বাজেট বর্ষ আমরাঅনুসরণ করে থাকি তাতে বর্ষার প্রাক্‌-মরশুমে সরকারি কর্মসূচিগুলি সক্রিয় হয়ে উঠতেপারে না। তাই, এ বছর বাজেট ঘোষণার দিনকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে আসতে চলেছি যাতে নতুনআর্থিক বছর শুরু হওয়ার সঙ্গে আমাদের ব্যয় ও বিনিয়োগের বিষয়টি সম্পৃক্ত হয়ে ওঠে।উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার তাতে বিকাশই ঘটবে। 

বন্ধুগণ, 

একপ্রজন্মের মধ্যেই ভারতকে এক উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা আমার লক্ষ্য।বিশ্বমানের সিকিউরিটি ও পণ্য বাজার ছাড়া ভারত কখনই এক উন্নত দেশে পরিণত হতে পারেনা। তাই নতুন যুগের উপযোগী এক আর্থিক বাজার গড়ে তোলার কাজে আপনাদের সকলের কাছথেকেই আরও বেশি করে অবদানের প্রত্যাশা করি আমরা। এনআইএসএম-এর আমি সর্বাঙ্গীণসাফল্য কামনা করি। সকলকেই জানাই আনন্দময় ক্রিসমাস ও নববর্ষ।