PM Modi calls for collective effort to completely eliminate the ‘treatable disease’ of leprosy from India
Mahatma Gandhi had an enduring concern for people afflicted with leprosy: PM
Effort to eliminate leprosy from this country under the National Leprosy Eradication Programme is a tribute to Mahatma Gandhi’s vision: PM

কুষ্ঠ চিকিৎসাযোগ্যএকটি রোগ। ভারত থেকে কুষ্ঠকে নির্মূল করতে সমবেত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ওপর জোরদিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

রবিবার, কুষ্ঠবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেছেন, চিকিৎসার সাহায্যে যে সমস্ত কুষ্ঠরোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁরা যাতে জাতি গঠনের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য তাঁদেরআর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে হবে আমাদের।

প্রধানমন্ত্রীবলেন, মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দেশের এই ধরনের নাগরিকরা যাতে সম্মানও মর্যাদার সঙ্গে জীবনধারণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। এজন্য প্রয়োজনকঠোর শ্রম ও প্রচেষ্টার।

শ্রী মোদী বলেন,কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশেষ যত্নবান ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তাঁরলক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র তাঁদের চিকিৎসাই নয়, সেইসঙ্গে সুস্থ রোগীদের সমাজেরমূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত করা।

দেশের জাতীয় কুষ্ঠনির্মূলকরণ কর্মসূচি মহাত্মা গান্ধীর এই লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনার প্রতি এক বিশেষশ্রদ্ধার্ঘ্য বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির সূচনা ১৯৫৫সালে। জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কুষ্ঠকে একটি বিশেষ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তানির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করা হয়। কুষ্ঠ সংক্রমণের ঘটনা সাফল্যের সঙ্গে কমিয়ে আনাহয় ২০০৫ সাল নাগাদ। এর ফলে, এই কর্মসূচির জাতীয় লক্ষ্যপূরণও সফল হয়ে ওঠে। কারণ, ঐসময় ১০ হাজার ব্যক্তি প্রতি কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় একেরও কমে। কুষ্ঠ রোগনির্ণয়ের কাজ এরপর থেকেই প্রান্তিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু রোগ নির্ণয়কালে কুষ্ঠরোগীদের কোন না কোন অঙ্গ বিকল ও বিকৃত হওয়ার ঘটনা চোখে পড়ে। কুষ্ঠের সঙ্গে সমাজের সংস্কার ও ধ্যান-ধারণারআমূল পরিবর্তনে সকলকে যুক্তভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এইকাজে কোনরকম ঘাটতি বা গাফিলতি যাতে না থাকে, সে সম্পর্কে আমাদের সজাগ ও সতর্কথাকতে হবে।

বিশেষত, দেশেরদুর্গম এলাকাগুলিতে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬-তেএক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঐ বছরইকুষ্ঠ রোগ নির্ণয়ের লক্ষ্যে এক বিশেষ অভিযানেরও সূচনা হয়। এর ফলশ্রুতিতে ৩২ হাজারকুষ্ঠ রোগীকে চিহ্নিত করে তাঁদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও, কুষ্ঠ রোগীরঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসতে হয় এ ধরনের ব্যক্তিদের মধ্যে যাতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে,তা নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধেরও ব্যবস্থা করা হয় বলে শ্রী মোদীউল্লেখ করেন।