অল জম্মুঅ্যান্ড কাশ্মীর পঞ্চায়েত কনফারেন্সের ৩০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শনিবার এখানেদেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেনকনফারেন্সের চেয়ারম্যান শ্রী শফিক মীর।
জম্মু ওকাশ্মীরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিধিরা আলোচনা করেনপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, দেশের অন্যত্র পঞ্চায়েতগুলির হাতে যে ধরণেরক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য তা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে,কেন্দ্রীয় সহায়তার সুফলগুলি রাজ্যের গ্রামগুলিতে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না।প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক স্মারকলিপি পেশ করে প্রতিনিধিরা ভারতীয় সংবিধানের ৭৩ ও৭৪তম সংশোধনগুলির আরও সম্প্রসারণের আর্জি জানান, যাতে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয়পর্যায়ের সরকারি কর্তৃপক্ষগুলির যথাযথ ক্ষমতায়ন বাস্তবায়িত হয়। রাজ্যের পঞ্চায়েতএবং শহরাঞ্চলের পৌর প্রতিষ্ঠানগুলির যত শীঘ্র সম্ভব নির্বাচন দাবি করে। তাঁরাবলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে ভোটদাতাদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছিল ।
প্রতিনিধি দলেরসদস্যরা বলেন, সংবিধানে যে ব্যবস্থাগুলির সংস্থান রয়েছে, তার সম্প্রসারণ ঘটলেজম্মু ও কাশ্মীরের পঞ্চায়েতগুলির ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে। এর ফলশ্রুতিতে গ্রামীণএলাকায় উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করার মতো ক্ষমতা অর্জন করবেপঞ্চায়েত সংস্থাগুলি। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষগতি সঞ্চার হওয়ারও আশা রয়েছে, যার অবশম্ভাবী পরিণতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্নকর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারবেন রাজ্যের জনসাধারণ।
জম্মু ওকাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রতিনিধি দলেরসদস্যরা। সমাজ বিরোধীরা যেভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অগ্নি সংযোগ করছে, তারওকঠোর নিন্দা করেন কনফারেন্সের সদস্যরা। দেশের গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকতা ওপ্রক্রিয়ার ওপর গভীর আস্থা স্থাপন করে প্রতিনিধি দলের নেতা শ্রী শফিক মীর বলেন,রাজ্যের অধিকাংশ জনগণই শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে বাস করতে চায়। কিন্তু, কিছু কায়েমিস্বার্থ তরুণ ছেলেমেয়েদের শোষণ করার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপেরও অনুরোধ জানানতাঁরা।
প্রধানমন্ত্রীপ্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি অবশ্যইবিবেচনা করে দেখবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন ও অগ্রগতি যে কেন্দ্রীয় সরকারিকার্যসূচির শীর্ষে রয়েছে, সেকথাও তিনি বুঝিয়ে বলেন কনফারেন্সের সদস্যদের।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, গ্রামেই অধিকাংশ লোকের বসবাস। সুতরাং, গ্রামোন্নয়নের অর্থই হ’ল, রাজ্যেরসার্বিক, অর্থনৈতিক বিকাশ প্রচেষ্টায় গতিবৃদ্ধি। এই বিষয়টিতে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যেরউন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রচেষ্টার মূলে ‘বিকাশ’ ও ‘বিশ্বাস’ সবসময়েই কাজ করেযাবে।
The Prime Minister assured the delegation that the Union Government will look into their demands. He stressed that growth and development of Jammu and Kashmir is high on his agenda. He added that development of the villages where a majority of people live, is vital to the overall economic development of the State. He reiterated stress on a humanitarian approach, and said that ‘Vikas’ and ‘Vishwas’ will remain the cornerstones of the Union Government’s development initiatives for the State of Jammu and Kashmir.