The close association between our two countries is, of course, much older. India and Kenya fought together against colonialism: PM
Common belief in democratic values, our shared developmental priorities & the warm currents of Indian Ocean bind our societies: PM
Kenya's participation in Vibrant Gujarat has generated a strong interest in Indian businesses: PM Modi
India would be happy to share best practises in organic farming with Kenyan farmers: PM
The large Indian-origin community of Kenya is a vital and energetic link between us: PM Modi

মাননীয়প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াট্টা,  

বিশিষ্টপ্রতিনিধিবৃন্দ,  

সংবাদমাধ্যমেরসদস্যবৃন্দ এবং  

বন্ধুগণ,  

এখনথেকে ঠিক ছ’মাস আগে কেনিয়া সফরের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা এবংকেনিয়ার জনসাধারণ এক অকৃত্রিম আন্তরিকতার মধ্য দিয়েই বরণ করে নিয়েছিলেন আমাকে। আজআমি এখানে প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে ভারতে স্বাগত জানানোরসুযোগ পেয়ে বিশেষভাবে আনন্দিত। এক সুপ্রাচীন নিবিড় বন্ধন রয়েছে আমাদের এই দুটিদেশের মধ্যে। ভারত ও কেনিয়া একত্রেই সংগ্রাম করেছে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে। গতমাসেই প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা মাখন সিং-এর অবদানকে স্বীকৃতিদান করেছেন। মাখন সিংছিলেন এক ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন নেতা যিনি কেনিয়ার উপনিবেশ-রাজ দূর করার লক্ষ্যে হাতমিলিয়েছিলেন কেনিয়ার ভাইদের সঙ্গে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দু’দেশেরই এক গভীর ও সাধারণআস্থা, উন্নয়নের অগ্রাধিকার সম্পর্কে মিলিত চিন্তাভাবনা এবং ভারত মহাসাগরের উষ্ণস্রোতধারা আমাদের দুটি দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে নিবিড়ভাবে আপন করে নিয়েছে।  

বন্ধুগণ,  

প্রেসিডেন্টেরসঙ্গে আলোচনাকালে আজ আমি আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্র সম্পর্কেইবিশেষভাবে পর্যালোচনা করেছি। গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিকে আমরা আমাদের কর্মপ্রচেষ্টারএক বিশেষ ক্ষেত্ররূপে হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম গত বছর আমার কেনিয়া সফরকালে। এরপরিপ্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, দু’দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশিকরে মূলধন বিনিময় এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নিবিড় অংশীদারিত্বের বিষয়গুলিকে আমরাবিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। গতকাল অষ্টম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ বিশ্ব সম্মেলনেউচ্চ পর্যায়ের এক বিশেষ প্রতিনিধিদল সহ যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা।‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ সম্মেলনে আপনার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারতীয় বাণিজ্য সমাজকেনিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে।দু’দেশেরই শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের উৎসাহদানে আমরা আগ্রহী, কারণ তার মধ্য দিয়েস্বাস্থ্য পরিচর্যা, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, নীল অর্থনীতি এবং জ্বালানিক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের সুযোগ-সুবিধা আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আগামীকাল যৌথ বাণিজ্য পরিষদের যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাতে এই বিশেষ বিশেষক্ষেত্রগুলিতে সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেনের সুযোগ প্রসারসম্ভব হবে। বাণিজ্যিক কর্মপ্রচেষ্টাকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়সুযোগ-সুবিধাদান, নির্দিষ্ট গুনমানের সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়কেও আমরানিশ্চিত করতে পারব। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারই হল আমাদেরদুটি দেশের এই বিশেষ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। আমরা সহযোগিতা করে চলেছি কেনিয়ায় কৃষিউৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও। কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণসহায়তাদান চুক্তি আজ এখানে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে, আমাদের দু’দেশের সহযোগিতারসম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ হল। ডালশস্যের উৎপাদন ও আমদানির লক্ষ্যে কেনিয়ারসঙ্গে এক দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি বর্তমানে রয়েছে আলোচনা ওঅনুসন্ধানের পর্যায়ে। কেনিয়ার কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ জৈব কৃষি পদ্ধতিসম্পর্কে সহযোগিতা বিনিময় সম্ভব হলে আমরা বিশেষভাবে আনন্দিত হব। ক্যান্সারেরচিকিৎসার জন্য ভাবাট্রন যন্ত্র ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কেনিয়াট্টা জাতীয়হাসপাতালে। ভারত-আফ্রিকা ফোরাম শীর্ষ বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে কেনিয়ার চিকিৎসকদেরদক্ষতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সহযোগিতা প্রসারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।শিক্ষা ক্ষেত্রে দু’দেশের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নতুন নতুন সংযোগ ও যোগাযোগের পথখুলে দিচ্ছে দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে। নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদেররয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। সেখানে আইসিসিআর-এর পক্ষ থেকে ভারত সম্পর্কে পঠনপাঠনেরজন্য বিশেষ অধ্যাপকের একটি পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সহায়তা ওসহযোগিতায় সেখানকার গ্রন্থাগারটিকে নতুন করে গড়ে তোলার কাজও হাতে নেওয়া হচ্ছে।জ্বালানি সহযোগিতার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতায় কেনিয়ার সমর্থনকে আমরা যথেষ্টমূল্যবান বলেই মনে করি। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও জোরদার করে তোলার লক্ষ্যেসৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দুটি দেশই যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

বন্ধুগণ,  

সমুদ্রঅঞ্চলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলি আমাদের দু’দেশেরই সাধারণ উদ্বেগের কারণ। কিন্তুসেইসঙ্গে নীল অর্থনীতির সুযোগ-সুবিধার সম্ভাবনাগুলিও আমাদের কাজে লাগাতে হবে।দু’দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়িত করার ওপর আমরা গুরুত্বআরোপ করেছি। আমাদের অগ্রাধিকারের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র হল জলবিজ্ঞান,যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, জলদস্যুতা রোধ, ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিময় সফরসূচি এবংপ্রতিরক্ষা-চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসার। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা ওসহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যেও সম্মত হয়েছি আমরা। এই লক্ষ্যে যৌথকার্যনির্বাহী গোষ্ঠীকে যত দ্রুত সম্ভব বৈঠক আহ্বানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই ব্যবস্থায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, মাদক ওনেশাদ্রব্যের পাচার রোধ, মানবপাচার দমন এবং বেআইনি অর্থ লেনদেনের প্রবণতা রোধইত্যাদি।  

বন্ধুগণ,  

ভারতীয়বংশোদ্ভূত কেনিয়াবাসী এক বিরাট জনগোষ্ঠী আমাদের দু’দেশের সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণও উৎসাহজনক ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কর্মসূচির সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করার প্রশ্নে বিশেষভাবে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছি আমিএবং প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা। আমাদের সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতপর্যায়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ও আমি সম্মত হয়েছি গত বছর আমাদেরআলোচনাকালে। রূপায়ণের কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তা আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

মাননীয়প্রেসিডেন্ট,  

গুজরাটও দিল্লিতে উপস্থিত থাকার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে যেভাবে আপনি আমাদেরসম্মানিত করলেন তাতে ভারতীয় জনসাধারণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকেও আমি আরও একবারবিশেষ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।  

ধন্যবাদ।  

আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।