২৭ শে অক্টোবর ২০১৩ একটি সাধারণ রবিবার হতো কিন্তু দুরভাগ্য ওই দিন পাটনার আইকনিক গান্ধি ময়দানে এক ভয়ানক এবং দু:খজনক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিলো যেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন।

জনসভায় অংশ নিতে কয়েক হাজার সমর্থক গান্ধি ময়দানে জড়ো হতো শুরু করে তখন একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ হতে শুরু করে

পাটনা পৌঁছানোর পর নরেন্দ্র মোদীর কাছে দুটো অপশন ছিলো, জনসভায় ভাষণ না দিয়ে গুজরাতে ফিরে যাওয়া (এবং ঘটনাস্থলে আরো ভয় যোগ করা) অথবা সমাবেশে এসে কথা বলা।

শ্রী মোদী জনসভা সমাবেশে শুধু ভাষণই দেননি বরং বরং হিন্দু ও মুসলমানদের একে অন্যের সাথে লড়াই পরিবর্তে এক সাথে দারিদ্রের মোকাবেলা করার করতে উৎসাহিত করেছিলো। তিনি বারবার বলেছেন শ্রোতাদের কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলা না করে শান্তিপূর্ণভাবে এবং একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে ছত্রভঙ্গ করতে।

পরবর্তীতে জানা গেলো শ্রী মোদীর যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন ওই মঞ্চের তলদেশে একটি বোমা ছিল।

সমাবেশের কয়েক সপ্তাহ পর শ্রী মোদী বললনে, আমার সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে এমনকি একটি গুজব যে, একটি প্রাণী  সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে তাই একটু কল্পনা করুন যদি কেউ ঘোষণা করে যে সমাবেশে বোমা আছে অথবা আমি সমাবেশে ভাষণ না দিতাম তাহলে কি ঘটতো। আমি স্পষ্ট ছিলাম যে মঞ্চে না যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।

এক সপ্তাহ পরে, শ্রী মোদী পাটনায় গিয়েছিলেন বোমা বিস্ফোরণের কারণে কাছের মানুষগুলোকে হারানো পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।

পাটনার ওই সমাবেশকে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে স্মরণ করা হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বে প্রশংসনীয়। একে অন্যের সাথে লড়াই পরিবর্তে এক সাথে দারিদ্রের মোকাবেলা করার বার্তা কোটি কোটি ভারতীয়দের হৃদয় ও মনে অনুরণন সৃষ্টি করে।