এটা সুবিদিত যে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেনরেন্দ্র মোদী ছিলেন এক সৃষ্টিশীল ক্ষেত্র সংগঠন। পঞ্চায়েত ভোট থেকে সংসদ নির্বাচনতক তিনি সংগঠন কাজ জড়িত।  

 আটের দশকে আমদাবাদ পুর নিগম নির্বাচনে গুজরাট বিজেপি সংগঠনের একশীর্ষ কর্তা হিসেবে দলের জয়ে তিনি যে সাহায্য করেছিলেন তা থেকে তার সৃজনশীলসাংগঠনিক দক্ষতার প্রমান মেলে। 

 সাংগঠনিক পদ্ধতিতে তার উদ্ভাবন দুটি বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছিল। এক,প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে শ্রম বিভাজন। দুই, নির্বাচনীঅভিযানের সঙ্গে আবেগকে যুক্ত করা। নগর ও তার শাসন কার্মকর্তাদের স্বত্ব আছে এই একভাব জাগিয়ে তিনি আবেগ সংযুক্তিতে তাদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হন। 

 আমদাবাদ পুর ভোটে তার নির্বাচনী অভিযানের বৈশিষ্ট্য ছিল এক সমাজস্তরে হাজার গোষ্ঠী সভার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এই ১০০০টি সভারপ্রস্তুতির জন্য তিনি ১০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেন। সমাজের গোষ্ঠী সভায় কর্মকর্তারকরণীয়- কোন কোন ইসু গুরুত্ব পাবে, কি যুক্তি তুলে ধরতে হবে সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণেমনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। 

 নির্বাচনী রণকৌশনে এ এক অভিনব ও আমূল পরিবর্তনকামী পদক্ষেপ। 

 পঁচিশ থেকে তিরিশ জনকে নিয়ে গড়া নাগরিকদের গোষ্ঠী সভায় নগরেরবিভিন্ন ইসু নিয়ে মতামত প্রকাশ করতে সাবলীল বক্তাদের উৎসাহ দেওয়া হত। এতে মেয়েদেরওসামিল করার জন্য বিকেল ২টোর পর বসতো মহিলা গোষ্ঠী সভা। তিনি এমনকি অটলবিহারীবাজপেয়ীজিকে এক নির্বাচনী অভিযানে আসতে রাজি করান।  

 ক্ষেত্র সংগঠনে নরেন্দ্র মোদীর অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু বলাদরকার। স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ, স্বেচ্ছাসেবক যোগাড়ের সঙ্গে স্হানীয় আবেগ মিশেলেরপরিকল্পিত এই এক প্রক্রিয়া আমদাবাদ পুরভোটে বিজেপি-র পালে অনুকূল হাওয়া তুলেছিল।স্হানীয় ইসুর উপর জোর দিয়ে সংগঠনের রাজ্য জোড়া সংগঠনিক কাঠামোর এক ছাঁচ গড়েতুলতে এটা নরেন্দ্র মোদীকে সাহায্য করেছিল।  

 খুঁটিনাটি বিষয়ে এহেন সচেতনতা দেখা গেছে এদের পর এক নির্বাচনে। তাসে গুজরাট বিধানসভা বা লোকসভা ভোট হোক অথবা ২০০১ এ যখন শ্রী মোদী ঢুকে পড়লেননির্বাচনী রাজনীতিতে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের চাহিদা ও আকাঙ্খা বুঝতেতার পটুতা খুব কাজ দিয়েছে।