স্বচ্ছ ভারত অভিযান ভারতকে ময়লা-মুক্ত করার লক্ষে প্রবর্তিত ভারতের কোটি কোটি জনগণের জীবনকে স্পর্শ করেছে।
প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট ২০১৪-তে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার সময় পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে বক্তৃতা দেন। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর আবর্জনা পরিস্কার করতে হাতে ঝাড়ু তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করেন। সবসময় তিনি পরিচ্ছন্নতার কোথাই বলেছেন জনসাধারণের সামনে। ইটা একটা সরকারী প্রোগ্রাম হোক বা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ তিনি পরিচ্ছন্নতার কথাই তুলে ধরেছেন সবসময়।
আশ্চর্যের কিছু নেই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর এবং সমস্ত পেশার মানুষ স্বচ্ছ ভারত অভিযানে এগিয়ে এসে যুক্ত হয়েছেন। মিডিয়াও এই গণআন্দোলনকে সমর্থন করেছে।
চন্দ্রকান্ত কুলকার্নির কর্মের মধ্যে দিয়ে দেখা যায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা জাতিকে কতোটা প্রভাবিত করেছে।
চন্দ্রকান্ত কুলকার্নি মধ্যবিত্ত পরিবারের অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। নিজের পেনশনের ১৬ হাজার টাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানে প্রতি মাসে দান করা সির্ধান্ত নিয়েছিলেন শুধু তাই নয়, উনি ৫২টি পোস্ট-ডেটেড চেকও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
একজন পেনশনভোগী ভারতের পরিচ্ছন্ন জন্য তাঁর বেতনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দান করছেন। এই আস্থা তুলে ধরেছে প্রধানমন্ত্রীর কথা কিভাবে মানুষের মনের মধ্যে নাগরিকবোধ সৃষ্টি করেছে এবং তাঁরা দেশের অগ্রগতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। 'ক্লিন ইন্ডিয়া'-র উপর প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন অনেক স্টোরি শেয়ার করেছেন। মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি অন্তত একটি করে এমন উদাহরণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রী মোদী পরিচ্ছন্নতা জন্য গণআন্দোলন তৈরি করতে সফল হয়েছেন, যা সবসময় ভারতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।